|
|
|
|
উপাচার্য নিয়োগের পদ্ধতি বদল নিয়ে কমিটিতে দ্বিমত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক নিয়োগের পদ্ধতিতে ‘সমস্যা’ আছে বলে মানছেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের উপদেষ্টা কমিটির সদস্যেরা। কিন্তু এই পদ্ধতি বদলানো প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ইত্যাদি পদে নিয়োগের পদ্ধতিতে বদল আনা দরকার কি না, পরিবর্তিত পদ্ধতিই বা কেমন হওয়া উচিত, সেই ব্যাপারে সুপারিশ করার জন্য একটি সাব-কমিটি গড়েছে ওই উপদেষ্টা কমিটি। কমিটির কয়েক জন সদস্যকে নিয়েই সাব-কমিটি গড়া হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক সুনন্দ সান্যাল। তিনি উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান। সোমবার ওই কমিটি বৈঠকে বসে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগেকার বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে দলতন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল বারবার। ক্ষমতায় এসেই নতুন রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, দলতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য অভিরূপ সরকার এ দিন জানান, বর্তমান পদ্ধতি না-বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু পদগুলিতে নিয়োগ করা উচিত নয় বলে এ দিনের বৈঠকে কোনও কোনও সদস্য মন্তব্য করেছেন।
সুনন্দবাবু এ দিন বলেন, “প্রযুক্তি, কলা, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে পঠনপাঠন কেমন হওয়া উচিত, উচ্চশিক্ষার উন্নতির জন্য কী কী দীর্ঘকালীন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সব পদে নিয়োগের বিষয় খতিয়ে দেখতে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের নিয়ে চারটি সাব-কমিটি গড়া হয়েছে। সেই সব সাব-কমিটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট দেবে অগস্টের মধ্যে। তার ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে সুপারিশ জানাবে উপদেষ্টা কমিটি।” |
|
|
|
|
|