টুকরো খবর
|
ছুটি দিয়ে স্কুলে অনুষ্ঠান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
প্রাথমিক স্কুল ছুটি দিয়ে হয়েছে বিয়ের ভোজের অনুষ্ঠান। এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। সোমবার মানবাজারের ইন্দকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি অপূর্ব সিংহ মানবাজার ১ নম্বর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ইরা সুবুদ্ধি মাঝিকে অভিযোগ করেছেন। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশও এই অভিযোগ করেন। অপূর্ববাবু বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ। বৌভাতের আয়োজন চলছে।” অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার বাড়িতে অনুষ্ঠান করার মতো জায়গা নেই। তাই প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের বারান্দা ব্যবহার করার অনুমতি নিয়েছিলাম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত রজক বলেন, “ওঁরা আমার কাছে অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান যে দিনের বেলায় হবে তা জানাননি।” রঞ্জিতবাবুর দাবি, “আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। পড়ানোর পরিবেশ না থাকায় ফিরে এসেছি।” অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের ঘরে এ দিন উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান নীলকমল মাহাতো ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় আচার্য। নীলকমলবাবু বলেন, “স্কুল সরকারি সম্পত্তি। প্রধান শিক্ষক ওখানে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিতে পারেন না। ওই শিক্ষককে ডেকে আমরা সে কথা জানিয়েছি।”
|
স্কুল ভোটে জয়ী তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাইপুর ও মানবাজার |
দু’টি স্কুল ভোটে ৬-০ ফলে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের দুধ্যা হাইস্কুলে ও মানবাজার ব্লকের ধানাড়া আশ্রমিক স্কুলে স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচন হয়েছে। রাইপুরের স্কুলে পরিচালন সমিতি দীর্ঘ দিন ধরে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার দখলে ছিল। এ বার তারা প্রার্থী দেয়নি। তবে সিপিএম ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তৃণমূল শিক্ষা সেলের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য মধুসূদন মণ্ডলের দাবি, “জঙ্গলমহলের শান্তি ও উন্নয়নের স্বার্থে এলাকার মানুষ তৃণমূলের উপরে আস্থাশীল। এই স্কুল ভোটের ফল থেকে প্রামাণিত।” যদিও সিপিএমের রাইপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামসুন্দর সিংহ মহাপাত্র বলেন, “ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি আমাদের দখলে ছিল না। গতবার যাঁরা জিতে ছিলেন, এ বার তাঁরাই দলবদল করে পুনরায় জয়ী হয়েছেন। এই ফলাফল থেকে রাজনৈতিক সমর্থন মাপা ঠিক নয়।” অন্য দিকে, মানবাজারের ধানাড়া আশ্রমিক স্কুলে জেতার প্রসঙ্গে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য প্রভাত মাহাতো, দিলীপ পাত্র বলেন, “স্কুলে এই প্রথম সিপিএম হারল। পরিবর্তনের ধাক্কায় আমরা ৬টি আসন পেয়েছি।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ চৌধুরী বলেন, “কী কারণে আমাদের হার, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
|
ভর্তির দাবিতে কলেজে তালা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরাবাজার |
ভর্তি হতে না পেরে কলেজে তালা দিয়ে দিলেন ছাত্রছাত্রীরা। এর ফলে টিচার ইনচার্জ-সহ অন্য শিক্ষক ও কর্মীরা কলেজে আটকে পড়েন। সোমবার ঘটনাটি ঘটে বরাবাজার বিক্রমটুডু মেমোরিয়াল কলেজে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ শিক্ষা বর্ষে ৫১৭ জন ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু আসন রয়েছে ২৫০। এ দিন সকালে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এসএফআই নেতা সঞ্জয় ধীবর বলেন, “এখনও পর্যন্ত পাশ ও অনার্স মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ জন ভর্তি হয়েছেন। এখনও অনেক ছাত্রছাত্রী আছেন যাঁরা ভর্তির সুযোগ পাননি। পড়ার সুযোগ থেকে কাউকে বঞ্চিত করা চলবে না। আমাদের দাবি না মানা হলে তালা খুলব না।” কলেজের টিচার ইনচার্জ আশিস নায়েক বলেন, “সমস্যার কথা উপাচার্যকে জানিয়েছি।” তবে ৫১৭ জন পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া প্রসঙ্গে আশিসবাবু বলেন, “তখন কলেজ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। গত বছর সিদহো-কানহু বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসেছে। এই সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
|
বেতনের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁতুড়ি |
দীর্ঘ দিন ধরে বেতন না পাওয়ায় সোমবার সাঁতুড়ি ব্লকের মুরাডি এসআরবিপি হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন বৃত্তিমূলক পাঠক্রমের শিক্ষকেরা। বিক্ষোভের জেরে পঠনপাঠন ব্যাহত হয়েছে। বিক্ষোকারীদের পক্ষে সুরজিৎ চৌহ্বান, মোনালিসা গঁরাইদের অভিযোগ, “বেতন দেওয়ার জন্য বারে বারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির সম্পাদকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু বেতন মেলেনি।” স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ফৌজদার বলেন, “তাঁদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটির জন্য এই সমস্যা। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তাঁরা দ্রুত বেতন পেয়ে যাবেন।” প্রধান শিক্ষক বিবেক চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “পরিচালন সমিতির সভাতে সদস্যদের অনুপস্থিতির জন্যই মূলত সমস্যা হয়েছিল। তবে পঠনপাঠন বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনের ঘটনা কাম্য নয়।”
|
স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
সারের কালোবাজারি রোখার দাবিতে সোমবার জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিককে স্মারকলিপি দিল সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের পুরুলিয়া শাখা। সংগঠনের সম্পাদক সীতারাম মাহাতো বলেন, “চাষের মরসুমে সার কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে যেরকম ইচ্ছে দাম নেওয়া হচ্ছে। তা রোখার দাবিতে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি।” জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিক অশ্বিনী কুমার কুণ্ডু বলেন, “আমি এই মর্মে স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে শীঘ্রই বৈঠকে বসছি।”
|
হেনস্থার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বান্দোয়ান |
ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সোমবার বান্দোয়ান থাকায় অভিযোগ দায়ের করেন এক শিক্ষিকা। চাঁদড়া উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা স্বাতী নন্দের অভিযোগ, “এ দিন পরিদর্শক স্নেহাশিস মাইতির অফিসে বেতন আনতে যাই। তিনি জানান, দেরি করে গিয়েছি বলে চেক দেওয়া হবে না। অন্য দিন আসতে বলেন। স্কুল কামাই করে বার বার আসতে পারব না বলে তাঁকে জানাই। উত্তেজিত হয়ে আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে বলেন, যতবার ডাকব আসতে হবে।” স্নেহাশিসবাবু বলেন, “কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে কী করতে পারি। মাত্র তিন মাস চাকরি রয়েছে। আমিও অভিযোগ করেছি।”
|
ট্রেন থেকে ধৃত কেপমার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আদ্রা |
টাটা-ছাপরা এক্সপ্রেস থেকে রবিবার রাতে রেলরক্ষী বাহিনী বা আরপিএফের বিশেষ দলের হাতে বমাল ধরা পড়েছে তিন কেপমার। ধৃত রঞ্জিত মণ্ডল, সুদাম যাদব ও বিধুর যাদব ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার খেজুরিয়া ও জামতাড়া জেলার খারবনির বাসিন্দা। সোমবার তাদের রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আরপিএফের আদ্রার ওসি অমিতাভ আনন্দ বর্ধন জানান, এই তিন জন টাটা-আসানসোল, হাওড়া-আসানসোল শাখায় বহু কেপমারির ঘটনায় জড়িত। আরপিএফ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে টাটা-ছাপরা এক্সপ্রেসে বিহারের মজফ্ফরপুরের বাসিন্দা মহম্মদ খলিল নামে এক যুবককে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে তাঁর টাকা ও অন্য জিনিসপত্র নিয়ে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই তিন কেপমার। তাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা, একটি মোবাইল ও জামাকাপড় ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। খলিলকে আদ্রা রেল হাসপাতালে ভর্তি করায় আরপিএফ। টাটা থেকে অসংরক্ষিত কামরায় চেপেছিলেন ওই যুবক। তিন কেপমার যাত্রী সেজে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমায়। পুরুলিয়া স্টেশনের কাছে মাদক মেশানো জল ও প্যাকেটের ফলের রস খাওয়ানোয় খলিল বেহুঁশ হয়ে পড়েন।
|
পথ অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
|
ছবি: সুজিত মাহাতো। |
যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ ও ভর্তির দাবিতে সোমবার দু’টি জায়গায় অবরোধ হয়। এ দিন সকালে ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে পুরুলিয়া মফসস্ল থানার আইমণ্ডি মোড়ের অদূরে লরির সঙ্গে মোটরবাইকের মুখোমুখি ধাক্কা হয়। এতে বাইক আরোহী জখম হন। এর পরেই বাসিন্দারা যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে অবরোধ করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। অন্য দিকে, ভর্তির দাবিতে এ দিনই জয়পুরে পুরুলিয়া-রাঁচি সড়কে ২ ঘণ্টা অবরোধ করে ডিএসও। সংগঠনের পক্ষে সাবিত্রী মাহাতো জানান, এলাকায় মাত্র ৩টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে। কিন্তু যা আসন শতাধিক পড়ুয়া ভর্তি হতে পারছেন না। প্রশাসনের আলোচনার আশ্বাস পাওয়ার পরে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা অবরোধ তুলে নেন। |
|