|
|
|
|
রেশন ডিলারদের বার্তা প্রশাসনকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
আলোচনাসভার মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য জনপ্রতিনিধি তথা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল রেশন ডিলারদের সংগঠন জয়েন্ট ফোরাম ফর পিডিএস ডিলার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন-এর পুরুলিয়া জেলা কমিটি। সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রীর সফরের পর বন্টন ব্যবস্থায় অসঙ্গতি পেয়ে জেলায় বেশ কয়েকজন রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় খাদ্য দফতর। তার প্রেক্ষিতেই ডিলাররা প্রশাসনকে এই ‘বার্তা’ দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার পুরুলিয়া শহরে সংগঠনের উদ্যোগে ‘গণবন্টন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সমস্যা ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সমাধান’ শীর্ষক একটি আলোচনা শিবিরের আয়োজন করা হয়। ডিলারদের দাবি, গণবন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতি রোধের উদ্যোগ কখনও কখনও ডিলারদের উপর নিপীড়নের পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মাহাতো বলেন, “বন্টনের প্রতিটি স্তরে নজরদারি ও তদন্ত স্বাগত। কিন্তু ডিলারদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।” সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি জগন্নাথ কোলে বলেন, “স্বাস্থ্য ও শিক্ষা’র মতো রেশন ব্যবস্থাতেও উচ্চ পর্যায়ের কমিটি প্রয়োজন। গণবন্টন ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের জন্য কমিটি রূপরেখা তৈরি করবে।” তাঁর প্রশ্ন, “টিম পাঠিয়ে, রেড করে, সাসপেন্ড করে সমস্যার সমাধান করা যায় কি?” জেলা খাদ্য নিয়ামক সুনয় কুমার গোস্বামী স্পষ্টই বলেন, “কোনও ব্লকে আমাদের কোনও স্বাস্থ্য আধিকারিক বা কোনও কর্মী বিধি-বহির্ভূত কাজ বা দুর্নীতি করলে জানান। আমরা ব্যবস্থা নেবো। তবে সাধারণ মানুষের জন্য নির্দিষ্ট খাদ্যশস্য অবশ্যই তাঁদের দিতে হবে।” রেশন ডিলারদের প্রতি তাঁর বার্তা, “দুর্নীতি থেকে বেরোতে হবে। এতে প্রশাসন ও ডিলার উভয়েরই দায়িত্ব আছে। যদি কোনও গ্রাহক কিছু জানতে চান তবে তাঁদের তা জানান। যাতে মনে না হয় তাঁরা কিছু গোপন করছেন।” পুরুলিয়ার বিধায়ক কে পি সিংহদেও বলেন, “আমরা ডিলারদের অকারণ হয়রানির বিরুদ্ধে। তবে মুখ্যমন্ত্রী চান যাতে সবার কাছে খাদ্য পৌঁছয়। গণবন্টন ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত হয়। তা নিশ্চিত করতে হবে।” ডিলারদের একাংশের প্রশ্ন, “আমরা কি রাতারাতি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম? আধিকারিকরাও কি রাতারাতি বদলে গেলেন?” কে পি সিংহদেও’র জবাব, “মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য সবার বদনাম হচ্ছে। তা নিয়ে সজাগ থাকতে হবে।” ডিলারদের প্রতি জেলার আরেক বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া’র আশ্বাস, “আপনাদের কথা সরকার ভাববে। কিন্তু মানুষকে তাঁর প্রাপ্য খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রশ্নে আপনাদের দায়বদ্ধ হতে হবে।” |
|
|
|
|
|