মিড ডে মিল প্রকল্পের কয়েক কুইণ্টাল চাল নষ্টের অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক শিথীন চট্টোপাধ্যায়ের গাফিলতির জন্যই এত পরিমাম চাল নষ্ট হয়েছে। ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েচে, স্কুলের শৌচালয়ের পাশে নোংরা ভর্তি একটি ঘরে মিড-ডে মিলের ওই চাল রাখা হয়েছিল। গত শনিবার গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা স্কুলে গিয়ে ওই চাল আটক করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং বিডিওকে। সোমবার বিডিও খোকন বালা ওই স্কুলে যান। তিনি বলেন, “ওই চাল বর্তমানে খাওয়ার অযোগ্য। স্কুলের মিড ডে মিলের রেজিস্টার বুক, রান্নার হিসাব রাখার খাতা এবং ব্যাঙ্কের পাশবই সব আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, শুধু মিড ডে মিল নয়, নানা বেনিয়মে যুক্ত আছেন ওই প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি পর পর দু’দিন ওই প্রধানশিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, হাজিরা খাতায় সই না করেও ওই প্রধান শিক্ষক বেতন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, স্কুলের বেশিরভাগ পড়ুয়াই আসে দরিদ্র পরিবার থেকে। তাদের জন্য সরকার মিড ডে মিল বরাদ্দ করেছেন। অথচ ওই চাল নষ্ট হল প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, “চালানের সময়েই চালগুলি খারাপ ছিল। তাই আমি আলাদা করে রাখতে বলেছিলাম। তবে চাল যে ও ঘরে রাখা হয়েছে আমি জানতাম না। তা ছানা যেদিন রাখা হয়েছিল সেদিন আমি স্কুলে আসিনি।” অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, “এ সবই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।” |