|
|
|
|
দাদপুর পঞ্চায়েতে প্রধান পদে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাদপুর |
পঞ্চায়েতের বাম সদস্যদের সমর্থন নিয়ে প্রধান পদে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ২ ব্লকের দাদপুর পঞ্চায়েতে। বামেদের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতে এত দিন প্রধান ছিলেন সিপিএমের। সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেন।
এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৯। তার মধ্যে বামেদের ১৫, ও তৃণমূলের ৪ জন সদস্য। এত দিন বামেদের দখলে থাকা এই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সিপিএমের আব্দুল জলিল। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জেতার পরে জলিলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ি ও দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। তারপর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান জলিল। প্রায় ২ বছর ধরে ওই পঞ্চায়তের কাজকর্ম এক রকম বন্ধই ছিল। তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে সম্প্রতি জলিল পদত্যাগ করেন। ২০ জুন থেকে ফরওয়ার্ড ব্লকের উপপ্রধান ফতেমা বিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযোগ, তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়। তারপর থেকে কাজে আসছিলেন না উপপ্রধানও। বামেদের সব সদস্যই দফতরে আসা বন্ধ করে দেন।
প্রধান পদত্যাগ করার পরে বিডিও-র নির্দেশে সোমবার প্রধান নির্বাচনের দিন ঠিক হয়। উত্তেজনার আশঙ্কা থাকা মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্য এ দিন উপস্থিত ছিলেন। কেবল প্রধান জলিলই আসেননি। নতুন প্রধান হিসেবে আরশেদ আলির নাম তৃণমূলের তরফে ঘোষণা হয়। অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দিতা করেননি। সকলেই তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন দেন। ১৮-০ ভোটে আরশেদ প্রধান নির্বাচিত হন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
এ ব্যপারে প্রাক্তন সাংসদ ও জেলার সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী বলেন, “তৃণমূল যে ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তাতে অনেকে বাড়ি ছাড়া। এই সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হয়, সমর্থন না করলে বাড়িতে থাকতে পারবেন না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা নিজেদের বাঁচাতে এটা করেছেন।” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, “ওই সদস্যেরা এখন আর সিপিএমে নেই। ওঁরা আগেই বিভিন্ন জায়গায় লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ওরা সিপিএম ছেড়ে দিচ্ছেন। সে জন্য সিপিএমের সমর্থনে নয়, নির্দলের সমর্থনেই দাদপুরে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।” |
|
|
|
|
|