|
|
|
|
সেরসায় ‘ধোনি প্যাভেলিয়ন’, সংগ্রহশালাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
আঠাশ বছর পরে দেশকে বিশ্বকাপ দিয়ে ইতিমধ্যেই ইতিহাসে ঢুকে পড়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সম্প্রতি ভোজপুরী অভিনেতা মনোজ তিওয়ারি ঘোষণা করেছিলেন তিনি মন্দির গড়বেন ধোনির নামে। আর এ বার, ধোনির ‘বেড়ে ওঠা’র সাক্ষী যে শহর, সেই খড়্গপুরে রেলের সেরসা স্টেডিয়ামে ধোনির নামে তৈরি হতে চলেছে নতুন প্যাভেলিয়ন। স্টেডিয়াম সংলগ্ন যে ঘরে ধোনি থাকতেন, সেখানে হবে সংগ্রহশালা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের স্পোর্টস বিভাগের তরফে সম্প্রতি এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষকে। সম্প্রতি তা মঞ্জুর হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ এই কাজে বরাদ্দ করেছে ২২ লক্ষ টাকা। খড়গপুরের ডিআরএম আর কে কুলশ্রেষ্ঠ বলেন,“প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।” |
|
এখানেই হবে ধোনির নামে প্যাভেলিয়ন।- সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
ক্রিকেটের সূত্রেই রেলশহর খড়গপুরের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ ধোনির। বছর দশেক আগে এখানে আসেন তিনি। পরে চাকরি পান রেলে। ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত এ শহরেই ছিলেন। সেরসা স্টেডিয়ামের সঙ্গেও জুড়ে আছে ধোনির জীবনের নানা স্মৃতি। এই স্টেডিয়ামেই তিনি এক সময় চুটিয়ে খেলেছেন দক্ষিন-পূর্ব রেলের হয়ে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের স্পোটর্স বিভাগের তরফেই প্রথম রেল কর্তৃপক্ষের কাছে স্টেডিয়ামের একাংশে ধোনির নামে প্যাভেলিয়ন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য ছিল, এই স্টেডিয়ামেই এক সময়ে ক্রিকেট খেলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। তাই তাঁর নামে প্যাভেলিয়ন হলে সকলেই গর্বিত হবেন। স্টেডিয়াম সংলগ্ন যে ঘরে ধোনি থাকতেন, তাও নতুন করে সাজিয়ে একটি সংগ্রহশালা তৈরির করার আর্জি জানানো হয়। এই প্রস্তাব মঞ্জুর হয়েছে। রেলের স্পোটর্স বিভাগের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন। এক আধিকারিক বলেন,“গ্যালারির একাংশ পুনর্নিমাণ করা হবে। উপরে থাকবে ফাইভারের সেড। ফলে ঝড়-জল কিংবা চড়া রোদেও খেলা দেখতে অসুবিধা হবে না।” ধোনির ব্যবহৃত নানা সরঞ্জামও এখানে রয়েছে। সেগুলিও সংগ্রহশালায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থাকবে বেশ কিছু ছবিও। ওই আধিকারিকের কথায়, “চাকরির সময়ে ছুটির দরখাস্ত করেছিলেন ধোনি। সেই সব দরখাস্তও সংগ্রহশালায় রাখা হবে। এগুলোই তো আমাদের কাছে স্মৃতি। জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক খড়গপুরে খেলেছেন, এটা ভাবলেই তো মন কেমন করে। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়।” খড়গপুরের ডিআরএমই পদাধিকার বলে সেরসা’র সভাপতি। তাই তাঁর কাছেই প্রস্তাব পেশ করা হয়। ডিআরএমের বক্তব্য,“গ্যালারির একাংশ শীঘ্রই নতুন রূপ পাবে।” রেল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে খুশী শহরবাসী। তাঁদের মতে, এই উদ্যোগ আগেই নেওয়া উচিত ছিল। এর ফলে রেলশহরের সঙ্গে ধোনির ‘সম্পর্কের’ কথা জানবেন অনেকেই। যাঁরা এখন ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, অনুপ্রেরণা পাবেন তাঁরাও। |
|
|
|
|
|