পেট্রোল পাম্পের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাদপুর |
রাজ্যের বেশির ভাগ পেট্রোল পাম্পেরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট ঢিলেঢালা। বহু পাম্প কার্যত অরক্ষিত থাকে। এই সুযোগে দুষ্কৃতীরা সেখানে লুঠপাট চালায়। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে তাদের হাতে পাম্পের লোকজনের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে উদ্যোগী হল হুগলি জেলা পুলিশ। সোমবার হুগলির দাদপুরে জেলার পুলিশকর্তারা রাজ্যের পেট্রোল পাম্প মালিকদের সংগঠন এবং তেল সরবরাহকারী সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পেট্রোল পাম্পের নিরাপত্তা ঢেলে সাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। পুলিশের তরফে ৯ দফা লিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পরে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই দাবি, প্রাথমিক ভাবে হুগলিতে এই ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে রাজ্যের সর্বত্রই তা লাগু করা হবে। এই কাজে পেট্রোল পাম্পের মালিকদের আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও সম্মত হয়েছে। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই পেট্রোল পাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা ছিল। এই ঘাটতির সুযোগে দুষ্কর্ম ঘটছিল। সে কারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই কাজে যুক্ত সকলেই এগিয়ে এসেছেন।”
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, হুগলিতে মোট ১৩০টি পাম্প রয়েছে। সেখানে পুলিশের তরফে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এত দিন তা মানা হয়নি। অনেক পাম্প সারারাত খোলা থাকে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি রোডের মতো রাস্তার ধারে নির্জন জায়গাতেও পাম্প রয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত পাম্পেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে, দুষ্কৃতীরা এখানে সহজেই ‘অপারেশন’ সেরে গা-ঢাকা দিতে পারে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে পাম্পের সমন্বয়েরও অভাব ছিল। এ বার থেকে পাম্পে অ্যালার্ম ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নগদ টাকা রাখার জন্য বিশেষ ধরনের ক্যাশবাক্সের (ওয়ান ওয়ে) ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে দুষ্কৃতীরা ক্যাশবাক্স খুলতেই না পারে। ‘ওয়ান ওয়ে ক্যাশবাক্সের’ চাবি পাম্পে রাখার দরকার হবে না। অথচ, চাবি ছাড়া তা খোলাও যাবে না। এ ছাড়াও, প্রতিটি পাম্পে ক্লোজড সার্কিট টিভি থাকবে।
বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার সেন বলেন, “পাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছিলাম। এ বার তা বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। এ ব্যাপারে সমস্ত তেল সরবরাহকারী সংস্থাই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই নতুন ব্যবস্থা চালু হবে।” হুগলিকে ‘মডেল’ করে কিছু দিনের মধ্যে সারা রাজ্যেই এই ব্যবস্থা চালু করা যাবে বলে তুষারবাবুর আশা। ভারত পেট্রোলিয়ামের চিফ রিজিওনাল ম্যানেজার জাকির মোল্লা বলেন, “পুলিশ ঠিক সময়ে একটা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করল। এ ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।”
প্রার্থী দিতে পারল না সিপিএম। হাওড়া জেলার দু’টি স্কুল পরিচালন সমিতিতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না সিপিএম। আমতার বড়মোহরা যতীন্দ্র বিদ্যাপীঠে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। ছ’টি আসনেই শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থীরাই মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত শনিবার বালি শিক্ষানিকেতন ফর গার্লস স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের শেষ দিনে তৃণমূল প্রার্থীরাই মনোনয়নপত্র জমা দেন। দু’টি স্কুলেই দীর্ঘদিন ধরে পরিচালন সমিতি ছিল সিপিএমের দখলে। অন্য দিকে, বাগনানের বাঁটুল হাইস্কুলে গত শনিবার স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে সিপিএম কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। এখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। এখানেও আগে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম।
• পাম্পে অ্যালার্ম ব্যবস্থা চালু করা হবে।
• নগদ টাকা রাখার জন্য বিশেষ ধরনের ক্যাশবাক্সের (ওয়ান ওয়ে) ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
• প্রতিটি পাম্পে ক্লোজড সার্কিট টিভি থাকবে। |