এক যুবকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গেল দানাপুরের বিজেপি বিধায়ক আশা সিন্হার নাম। হরিশ পাসোয়ান নামের নিহত ওই যুবকের মা পুলিশের কাছে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীরা বিধায়কের গাড়ি থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলিশও বিধায়কের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে দিতে পারছে না।
শনিবার সকালে তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইক চেপে এসে খগোলের বাসিন্দা হরিশ পাসোয়ানকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। পরদিন দানাপুরের বিধায়কের গাড়ি থেকে অস্ত্র-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ছিল যুবকের হত্যাকারী বলে কথিত দুই কুখ্যাত অপরাধী অরবিন্দ পাসোয়ান, হুল্লার পাসোয়ান ছাড়াও দীপক ওরফে তেনি, খগোলের কাউন্সিলর রাজেশ রায় ওরফে বিল্টু গোপ এবং বিধায়কের গাড়ির চালক বীরেন্দ্র কুমারও। যুবকের মা উমা দেবীর অভিযোগ, “ওই এলাকায় আমার ছেলে বিল্টুর কাজের বিরোধিতা করছিল। তাই দু’দিন আগে বিধায়কের গাড়িতে কিছু দুষ্কৃতী হরিশকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এর পরেই ওরা শনিবার সকালে হরিশকে গুলি করে মারে।”
স্বয়ং বিধায়ক আশা সিন্হা অবশ্য ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মাসখানেক আগেই আমি বীরেন্দ্রকে চালক হিসেবে নিয়োগ করেছি। গাড়িটি ধরা পড়ার দিন আমার একটি বিয়েবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। বিয়েবাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি হতে আমি বাড়ি গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর চালক বীরেন্দ্র এসে আমায় বলে, পাঁচ মিনিট ঘুরে আসছে। তার কিছুক্ষণ পরেই আমি গাড়িটি আটক হওয়ার খবর পাই। পুলিশ জানায়, আমার চালকের সঙ্গে আরও কয়েক জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র-সহ আমার গাড়িতে করে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি এর বিন্দুবিসর্গও জানতাম না।” বিধায়কের আরও যুক্তি, “গাড়িতে আমার চশমা, ডায়েরি থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু জিনিস মিলেছে। যদি আমি এতে যুক্ত থাকতাম, তা হলে আমি কি ওগুলো গাড়িতে রেখে আসতাম!”
ঘটনায় বিধায়কের জড়িত থাকা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার হরপ্রীত কৌরের কথায়, “বিধায়কের মত নিয়েই বীরেন্দ্র এই কাজ করছিল কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে বিধায়কের গাড়িটি অপরাধমূলক কাজকর্মে ব্যবহার হয়েছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে অরবিন্দ এবং হুল্লার স্বীকার করেছে, হরিশকে মারার জন্য বিল্টু দীপক ওরফে তেনি নামের এক অপরাধীকে সুপারি দিয়েছিল। বিল্টু তেনিকে হরিশকে খুনের জন্য ৫০ হাজার টাকা দেবে বলেছিল। এর পরে অরবিন্দ এবং হুল্লার মোটরসাইকেলে করে গিয়ে হরিশকে খুন করে আসে। |