রদবদলের ঠিক এক দিন আগে পি চিদম্বরম ও কপিল সিব্বলকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়াল বিজেপি।
বিজেপি ও বাম দুই বিরোধী শিবিরই আজ রদবদল থেকে শুরু করে রেল দুর্ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে। বামেদের নিশানা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা হলেও বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, দু’বছরে মমতা রাজনৈতিক স্বার্থে রেলকে ব্যবহার করায় সুরক্ষার বিষয়টি অবহেলিত থেকে গিয়েছে। রেল-নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও এক লক্ষ পদ শূন্য। সীতারামের দাবি, “প্রধানমন্ত্রীকেই ব্যাখ্যা দিতে হবে, কেন জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে রেলকে অবহেলার শিকার করতে দেওয়া হল? কেন প্রধানমন্ত্রী এত দিন ধরে রেলের এক জন পূর্ণমন্ত্রী নিয়োগ করছেন না? রেল তো এখন রাম ভরসায় চলছে।”
বিজেপি-র তোপ ছিল সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকে। এ রাজা ও কানিমোঝির গ্রেফতারের পর রক্তের স্বাদ পাওয়া বিজেপি এখন সরাসরি কংগ্রেসের মন্ত্রী চিদম্বরম ও সিব্বলেরর অপসারণ চাইছে। টু-জি দুর্নীতিতে চিদম্বরমের ভূমিকা ও বেসরকারি টেলিকম সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিজেপির মুখপাত্র জগৎপ্রকাশ নাড্ডা আজ বলেন, “কাল প্রধানমন্ত্রীর সততার পরীক্ষা। মন্ত্রিসভা থেকে এঁদের সরানোর সাহস দেখাতে না পারলে বুঝতে হবে তিনি রাজনৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছেন।”
রেল দুর্ঘটনার প্রশ্নেও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এত দিন শরিক দলের দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ হয়ে মনমোহন জোট রাজনীতির দোহাই দিয়েছেন। আর এখন রেল মন্ত্রককে ‘অনাথ’ করে রাখায় প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে গোটা রেলবোর্ডকেই মমতা কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নীরব দর্শক।
নাড্ডার মতে, “এনডিএ জমানাতেও রেল ছিল শরিক দলের হাতে।
তখন সকলের উপরে নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর। মনমোহনের সেটা নেই। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে যেতে বললেও রেল প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় তাঁকে
অবজ্ঞা করেন।” |