কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলায় কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট।
ওই মামলায় সিব্বলের বিরুদ্ধে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনস সংস্থাকে অন্যায় ভাবে সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই সঙ্গে আদালত সাফ জানিয়েছে, টেলিকম সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগকেই টু-জি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না।
সিব্বলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন”। ওই হলফনামা অনুযায়ী, টেলিকম দফতরের অফিসারদের মত উপেক্ষা করে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনসের অর্থদণ্ড কমিয়ে দিয়েছেন সিব্বল। “ইউনিফায়েড অ্যাকসেস সার্ভিস লাইসেন্স” সংক্রান্ত চুক্তি ভঙ্গ করায় ওই সংস্থাকে অর্থদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মতে, সিব্বল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না তা ভিন্ন প্রশ্ন। এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ থাকলে যে কেউ আইনের সাহায্য নিতে পারেন। সিবিআইও প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখতে পারে। কিন্তু, এখনই এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই বিষয়টির সঙ্গে টু-জি কেলেঙ্কারির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেন কেন্দ্রের রোহিনটন আইনজীবী।
এই মামলায় আজ কেন্দ্রের হয়ে সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের বদলে সওয়াল করেন নরিম্যান। সুব্রহ্মণ্যমকে আজ আদালতে দেখা যায়নি। গত সপ্তাহে সলিসিটর জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন সুব্রহ্মণ্যম। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় তাঁর বদলে নরিম্যানকে নিয়োগ করার ফলেই সরে যেতে চেয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম।
সরকারি সূত্রের খবর, সুব্রহ্মণ্যমের ইস্তফা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। সলিসিটর জেনারেলের ইস্তফা এখনও গ্রহণ করেনি কেন্দ্র। ইস্তফা নিয়ে আর না এগোতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সুব্রহ্মণ্যমকে অনুরোধ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। |