|
|
|
|
বিক্রি বাড়বে ঢিমেতালে, আশঙ্কা গাড়ি শিল্পের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মূল্যবৃদ্ধির চাপে কিছুটা ঢিমেতালেই বিক্রি বাড়বে বলে আশঙ্কা গাড়ি শিল্পের। বিক্রি বৃদ্ধির আগাম পূর্বাভাস প্রকাশে এ বার সেই ইঙ্গিতই দিল গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম)। চলতি অর্থবর্ষে দেশে গাড়ি বিক্রি বাড়বে ১১ থেকে ১৩%। আর যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি বাড়তে পারে ১০-১২%। এর আগে তা ১২ থেকে ১৫% বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল সিয়াম। তবে গত দু’মাসে তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত বেড়ে চলা সুদের কথা মাথায় রেখে পূর্বাভাস কমানোর কথা জানিয়েছে তারা।
জুন মাসে দেশে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি বেড়েছে মাত্র ১.৬২%। ২০১০ সালে এই সময়ে ১,৪১,০৮৬টি থেকে তা বাড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪৩,৩৭০টিতে। ২০০৯ সালের মার্চের পর থেকে এই প্রথম এত কমল গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধি। সিয়ামের প্রেসিডেন্ট পবন গোয়েন্কা জানান, মারুতি সুজুকির মানেসর কারখানায় ১৩ দিন ধরে চলা ধর্মঘটও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে জুনের বিক্রির উপর। পাশাপাশি, টাটা মোটরসের বিক্রিও কমেছে। তবে ১৪.৫৯% বেড়েছে দ্বিচক্রযান বিক্রি। গোয়েন্কার দাবি, ২০১১-’১২ অর্থবর্ষের বাকি মাসগুলিতেও এই দুই সংস্থার বিক্রির উপর অনেকটাই নির্ভর করবে দেশে গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার। তবে সিয়াম জানিয়েছে, এরই মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন মাসে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রির নিরিখে আমেরিকাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত।
অবশ্য আগামী দিনে সুদের হার আরও বাড়লে, গাড়ি শিল্পের উপর তার প্রভাব হবে মারাত্মক। এই সতর্কবার্তা দিয়েও সিয়ামের দাবি, আগামী কয়েক মাসে উৎসবের মরসুমের হাত ধরে কিছুটা হলেও বাড়বে গাড়ি বিক্রি। পূর্বাভাস কমানোর সঙ্গেই সোমবার গাড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক আইন বদলানোরও দাবি জানিয়েছে সিয়াম। গাড়ি কারখানাগুলিতে আরও বেশি স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা এবং মন্দার সময়ে প্রয়োজনে কর্মী ছাঁটায়ের অধিকার যাতে সংস্থাগুলির থাকে, তার দাবি জানিয়েছে তারা। ছাঁটাইয়ের পরবর্তী সময়ে অন্য চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত যাতে কেন্দ্র সেই কর্মীর দায়িত্ব নেয়, সেই ব্যবস্থাও চালুর কথা জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি, কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও অধিকার চেয়েছে সংগঠন। |
|
|
|
|
|