|
|
|
|
সেনসেক্স পড়ল প্রায় ১৩৭ পয়েন্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফের পড়ল শেয়ার বাজার। সোমবার সেনসেক্স এক ধাক্কায় ১৩৬.৬৫ পয়েন্ট পড়ে যায়। বাজার বন্ধের সময় তা এসে থিতু হয় ১৮,৭২১.৩৯ অঙ্কে।
দেশের আর্থিক ক্ষেত্রের নানা অনিশ্চয়তার ফলে লগ্নিকারীদের মধ্যে অনেকেই বাজারের উপর আস্থা হারিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থা খুব শীঘ্রই তাদের চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করতে শুরু করবে। আগাম কর আদায়ের পরিমাণ প্রথম ত্রৈমাসিকে আগের বারের থেকে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ওই সব সংস্থার আর্থিক ফলাফল ভাল হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একটি মহলের বিশ্বাস। কিন্তু তাঁদের উপর আস্থা রাখতে ভরসা পাচ্ছেন না লগ্নিকারীরা। ওই ফলাফল খারপ হতে পারে, এমন আশঙ্কাও লগ্নিকারীদের মনে রয়েছে।
আর্থিক ফলাফলের পাশাপাশি লগ্নিকারীদের যে আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছে তা হল, ফের বাড়তে পারে সুদের হার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই মনে করলেও লগ্নিকারীরা আশঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। এই সব কারণেই হাতের শেয়ার বিক্রি করে লোকসানের সম্ভাবনাকে যথাসম্ভব কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছেন লগ্নিকারীদের একটি বড় অংশ। আর এর জেরেই সূচক পড়ছে বলে শেয়ার বাজার সূত্রের খবর।
তবে শেয়ার বাজারের উপর আস্থা হারানোর কোনও কারণ নেই বলে মনে করেন এডেলওয়াইজের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার পীযুষ চাড্ডা। তিনি বলেন, “ফাটকাবাজির দিকে না গিয়ে প্রকৃত অর্থে লগ্নির মনোভাব নিয়ে বাজারে প্রবেশ করলে হাত পোড়ানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।” তবে চাড্ডার মতে, “লগ্নি করতে হবে অবশ্যই দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে।” দীর্ঘকালীন বলতে কমপক্ষে তা তিন বছর মেয়াদের হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাজারের প্রতি ভারতীয় লগ্নিকারীদের এক অংশের আস্থায় টান পড়লেও চাড্ডার মতো বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও কিন্তু ভারত সম্পর্কে বিশেষ আশাবাদী। এ জন্য তারা ভারতের বাজারকেই লগ্নির অন্যতম ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী ওই সব সংস্থা চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসেই ভারতে ১৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বাজারের বর্তমান অবস্থায় মুনাফা করার ভাল সুযোগ আছে বলে মনে করেন চাড্ডা। সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, “তাঁরা মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি)-এর মাধ্যমে লগ্নি করতে পারেন।” এসআইপির মাধ্যমে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা মিউচুয়াল ফান্ড প্রকল্পে লগ্নি করা যায়। এতে বাজার ওঠা-নামার ঝুঁকি এড়ানোর সুযোগ তুলনামূলক ভাবে কম রয়েছে। |
|
|
|
|
|