|
|
|
|
সপ্তাহ শেষেই বেঙ্গালুরুতে বৈঠক পার্থ-নারায়ণমূর্তির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি সপ্তাহের শেষেই বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাত্রার অন্যতম উদ্দেশ্য দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের অন্যতম প্রাণপুরুষ নারায়ণমুর্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নের জন্য গঠিত উপদেষ্টা মণ্ডলীর (কমিটি) নেতৃত্ব দিতে নারায়ণমূর্তিকে আগেই প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। পার্থবাবুকেও ইনফোসিসের সদর দফতর বেঙ্গালুরু যাওয়ার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন সংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা ক্রিস গোপালকৃষ্ণন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই পার্থবাবুর বেঙ্গালুরু সফর। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কারণে কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যে সেতু তৈরি হয়ে রয়েছে, তার ভিত আরও শক্ত করার লক্ষ্য পূরণেও উদ্যোগী হবেন শিল্পমন্ত্রী। |
নারায়ণমূর্তি |
পার্থ চট্টোপাধ্যায় |
|
মন্ত্রী হওয়ার পরে পার্থবাবু এই প্রথম শিল্পমহলের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দেবেন। সোমবার তিনি জানান, ১৭ জুন নারায়ণমূর্তি বিদেশ পাড়ি দেবেন। তার আগেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। শুক্রবার পার্থবাবুর ও রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঙ্গালুরু পৌঁছনোর কথা।
দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়মিত শিল্পমহলের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি পার্থবাবু ইনফোসিস ও উইপ্রো-র জট কাটাতেও উদ্যোগী। এ দিন তিনি বলেন, “আমরা চাই এই সব সংস্থা এবং অন্যরাও এ রাজ্যে আসুক। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হোক।” কর্নাটক সফরকে সেই উদ্দেশ্যেও কাজে লাগাতে চান তিনি। এজিস বা কগনিজ্যান্ট-সহ অন্য তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গেও তাঁদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও এ রাজ্যের সঙ্গে কর্নাটকের যোগসূত্র রয়েছে। বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি এ রাজ্যে লগ্নি করেছেন। সম্প্রতি তিনি আরও লগ্নির ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। পার্থবাবু জানান, তাঁর এই সফরে শেঠি নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলে তা তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন।
এ দিকে, রাজ্যে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া সরল করা করা নিয়ে এ দিন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমে বৈঠক করেন শিল্পমন্ত্রী। পরে তিনি জানান, শিল্পায়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে কর্নাটকে যেখানে ১১৩ দিনের মতো সময় লাগে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে তা ৩১৫ দিন! এই সময় কমাতে বিভিন্ন বণিকসভার পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। পার্থবাবু জানান, ইন্ডিয়ান চেম্বার এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে। কর্নাটক সফরে এই বিষয়টিও উঠতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। এ দিন চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও পার্থবাবুর ফোনে কথা হয়। হলদিয়া পেট্রোকেমের পরিচালন পর্ষদের পরবর্তী বৈঠকের আগেই সংস্থার নতুন চেয়ারম্যান স্থির করার বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী শিল্পমন্ত্রী। তবে মোটর স্পিরিট-এর উপর বিক্রয় কর তুলে নেওয়ার যে দাবি সংস্থা করেছে, তা এখনই রাজ্য মানবে না বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি মেনে কেন্দ্র ন্যাপথার উপর আমদানি শুল্ক তুলে নেওয়ায় সংস্থার প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা বাঁচবে। |
|
|
|
|
|