মার্কিন ড্রোন বিমানের হামলায় নিহত হয়েছে ২৬/১১-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আল কায়দা নেতা ইলিয়াস কাশ্মীরি। গত রাতে ওই হামলায় পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে নিহত হয়েছে আরও আট জঙ্গি। আজ পাক গোয়েন্দা সংস্থার এক অফিসার এই খবর জানিয়েছেন। হরকত উল জিহাদ অল ইসলামি (হুজি) জঙ্গি গোষ্ঠীর কম্যান্ডার ছিল কাশ্মীরি। একটি বিবৃতিতে কাশ্মীরির মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে হুজিও।
২৬/১১-কাণ্ড ও পাকিস্তানের নৌঘাঁটি পিএনএস মেহরানে সাম্প্রতিক হানা-সহ নানা জঙ্গি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে কাশ্মীরির বিরুদ্ধে। আমেরিকার আদালতে গত বেশ কিছু দিন ধরে বিচার চলছে মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানার। ওই মামলায় লস্কর ই তইবার সদস্য ডেভিড কোলম্যান হেডলির স্বীকারোক্তিতে বার বার উঠে এসেছে কাশ্মীরির নাম।
মুম্বই হামলায় অভিযুক্ত কাশ্মীরির মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে ভারত সরকার। নয়াদিল্লিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সচিব ইউ কে বনশল বলেছেন, কাশ্মীরির বিরুদ্ধে ফৌজদারি ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আমরা তার মৃত্যু সংক্রান্ত খবরের সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি।
১৯৬৪ সালে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জন্ম ইলিয়াস কাশ্মীরির। দীর্ঘদিন ধরেই তার উপরে নজর রেখেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ১৯৯৪ সালে চার জন বিদেশি পর্যটককে অপহরণ করে সে। ওই অভিযানে তার সঙ্গী ছিল আল কায়দা জঙ্গি শেখ ওমর সইদ। ওই পর্যটকদের বিনিময়ে ভারতের জেলে আটক জঙ্গি নেতা মৌলানা মাসুদ আজহারের মুক্তি দাবি করেছিল জঙ্গিরা। সে যাত্রা ভারতীয় পুলিশের হাতে ওমর ধরা পড়লেও কাশ্মীরি পালিয়ে যায়। পরে ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের অপহৃত বিমানের যাত্রীদের বিনিময়ে মুক্তি পান মাসুদ আজহার। একই সঙ্গে মুক্তি পায় ওমর।
২০০০ সালে উত্তর কাশ্মীরে এক ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করে কাশ্মীরি। পরে সেই মুণ্ডের সঙ্গে নিজের ছবি পাক প্রচারমাধ্যমের হাতে তুলে দেয় সে।
গত রাতেই ওয়াজিরিস্তানের লামান গ্রামে গিয়েছিল প্রাক্তন পাক সেনা কাশ্মীরি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রাতে লামানে আঘাত হানে মোট চারটি ক্ষেপণাস্ত্র। ওই হামলাতেই নিহত হয় কাশ্মীরি ও অন্য জঙ্গিরা। |