অনল আবেদিন,জিয়াগঞ্জ: অপুষ্টি আক্রান্ত মা বছর চারেক থেকে মুনিস খাটতে যেতে পারেন না। জন্মান্ধ দাদা বীরেন বাড়ির বোঝা। দারিদ্রের কারণে ১৪ বছরের বোন অপরাজিতা প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পর স্কুলছুট। কনিষ্ঠ ভাই বিশ্বনাথ মিডডে মিলের জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক স্কুলে যায়। আর সে মাঝেমধ্যে গেরস্থের ডাক পেলে নিরক্ষর বাবা মাণিক সর্দারের সঙ্গে মাঠে মুনিস খাটতে যায়। ঘর বলতে কাঠা খানেক জমির উপর খড়ের ছাউনি দেওয়া ১০ ফুট বাই ১৩ ফুটের কঞ্চির বেড়া দেওয়া একটি ঝুপড়ি। ।
পিলখানার পরিচয় এখন ১০০-এ ১০০
সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়,রেজিনগর: ‘অরূপের বাড়ি খুঁজছেন তো? চলুন।’ গ্রামে ঢুকতেই প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলেন পথ চলতি এক যুবক। নিজেই উদ্যোগ নিয়ে পৌঁছে দিলেন অরূপের বাড়িতে। রেজিনগরের পিলখানায় অরূপ মণ্ডলের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েও একটা প্রচ্ছন্ন গর্ববোধ। অচেনা পিলখানাকে ভাল ফলের মানচিত্রে এনে দিয়ে ছেলেটি এখন সবার প্রিয়। এ বছর মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, অঙ্কে অরূপ একশোয় একশো! এই ফলের জন্য শুধু অরূপ বা তার পরিবারের লোক না, খুশি গোটা গ্রামের মানুষ।
কলসির বড় কদর। কৃষ্ণনগরে সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।