|
|
|
|
নদী শুকিয়ে জল প্রকল্প বন্ধ রতুয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
ফুলহার নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায় মালদহের রতুয়ার ‘কাহালা-বালুপুর আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ প্রকল্প’ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে জল সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কাহালা ও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪৫ হাজার বাসিন্দা। আর্সেনিক প্রবন ওই এলাকাগুলিতে বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ওই জল সরবরাহ ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রকল্প এলাকা থেকে ফুলহার নদীর জল শুকিয়ে ৩৫০ মিটার দূরে সরে যাওয়াতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই) তরফে জানানো হয়েছে। চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেছেন, “নদী দূরে সরে জল শুকিয়ে যাওয়াতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
২০০৮ সালে ২১ কোটি টাকায় আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ প্রকল্পটি তৈরি হয়। ফুলহারের জল পরিশোধন করে তা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কখনও ফুলহারের বাঁধ ভেঙে, কখনও নদীর জলের সমস্যায় প্রকল্পটি একাধিকবার বন্ধ হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন, পিএইচই-র কর্তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই বছর আগে কাহালায় ফুলহারের বাঁধ ভেঙে জলের তোড়ে পাইপলাইন নষ্ট হয়। কয়েকটি এলাকায় এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। এবার নদীর জলের সমস্যায় গোটা প্রকল্পটিই বন্ধ হয়ে পড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
প্রকল্পটি নিয়ে প্রশাসন ও পিএইচই দফতরের উদসীনতাকেই দায়ী করেন বাসিন্দারা। রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ হেসামুদ্দিন বলেন, “প্রকল্পের জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে।” পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলহার নদীতে বিশেষ পদ্ধতিতে পাইপ পেতে তার পরে পাম্প করে জল প্রকল্পে আনার কথা ভাবা হয়। কিন্তু বন্যার কথা মাথায় রেখে ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের তাতে আপত্তি জানায়। এখন খাল কেটে জল কাছে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দফতরের চাঁচল মহকুমার সহকারি বাস্তুকার গৌতম দত্ত বলেন, “প্রকল্প থেকে নদীর জল ৩৫০ মিটার দূরে সরে গিয়েছে। ফলে প্রকল্পের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খাল কেটে নদীর জল প্রকল্পের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।” |
|
|
|
|
|