তৃণমূলকে দুষলেন মানস
অন্যায় রুখতে গিয়েই আক্রান্ত
ন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই তৃণমূলের হাতে দলীয় কাউন্সিলরকে আক্রান্ত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। রবিবার জখম কাউন্সিলরকে দেখতে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে যান মানসবাবু। তিনি বলেন, “যা হয়েছে তা খুবই দুভার্গ্যজনক। কাউন্সিলর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন। যে সার্টিফিকেট নিয়ে গণ্ডগোল, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারত। জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারকে বলেছি বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে। মানুষ বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। দুই দলের নেতাদের সতর্ক হতে হবে।” শুক্রবার রাতে ‘রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট’ নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজয় ঘটক-সহ দু’পক্ষের ১৩ জন জখম হন। শনিবার শিলিগুড়িতে মিছিল করে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা উত্তরঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব অভিযোগ করেন, ঘটনায় কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সির হাত রয়েছে। টিএমসিপি সমর্থকদের উপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে।
আহত সুজয় ঘটককে দেখতে নার্সিংহোমে মানস ভুঁইয়া। নিজস্ব চিত্র।
উন্নয়ন স্তব্ধ করতেই ওই আক্রমণ। সুজয়বাবু মানসবাবুকে জানান, তৃণমূলের কিছু কর্মী ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিখিল সাহানির কাছ থেকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়ে তাঁর ওয়ার্ডে বিক্রি করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকার দুই বাসিন্দা তাঁকে অভিযোগ জানান। এরপরই সুজয়বাবু তৃণমূলের ওই কর্মীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। সেই সময় তাঁকে হেনস্থা করা হয়। সন্ধ্যায় সংগঠিত ভাবে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কাউন্সিলরের উপর হামলা চালান। বাধা দিতে গিয়ে যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ সমর্থকরাও আক্রান্ত হন। ঘটনা শুনে মানসবাবু বলেন, “রাজ্যে জোট সরকার রয়েছে। শিলিগুড়িতে জোটের মেয়র রয়েছেন। তার পরেও এটা কেন হচ্ছে তা নিয়ে দলে আলোচনা হবে। অনেকে এই বিষয় নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন। সেটা ঠিক নয়। মন্তব্য করার আগে সচেতন ও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন।” এ দিন যুব কংগ্রেসের তরফে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিখিল সাহানি কংগ্রেস কাউন্সিলরকেই ঘটনার জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সার্টিফিকেটে কোনও ভুল হয়নি। আমি ওই বরোর চেয়ারম্যান। কাউন্সিরের সঙ্গে ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে ২ জন সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না। তাঁরা আমার কাছে আসেন। তাঁদেরকে আমি চিনি বলে সার্টিফিকেট দিয়েছি। বিক্রির অভিযোগ মিথ্যে।” পুলিশ ওই ঘটনায় দুটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.