• আর্থার কনান ডয়েল সৃষ্ট শার্লক হোমস-এর গল্পগুলিতে জন এইচ ওয়াটসন অন্যতম প্রধান চরিত্র। ওয়াটসন ছিলেন শার্লক হোমস-এর বন্ধু, সহকারী এবং কখনওসখনও এক ফ্ল্যাটের বাসিন্দাও। মাত্র চারটি গল্প বাদ দিলে শার্লক হোমস-এর বাকি গোয়েন্দাকাহিনি তাঁর জবানিতেই লেখা।
•
কুরেশি আল্লা রাখা খান। উস্তাদ আল্লা রাখা নামেই তিনি অধিক পরিচিত। ১৯৬০-এর দশকে পণ্ডিত রবিশংকরের প্রধান সঙ্গতকার তবলিয়া হিসেবে এই প্রবীণ শিল্পীর নাম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৭ সালে মন্টেরেই পপ ফেস্টিভ্যাল এবং ১৯৬৯ সালে উডস্টক ফেস্টিভ্যাল-এ তাঁদের অনুষ্ঠান সনাতন ভারতীয় গীতবাদ্যকে তুলে ধরে পশ্চিমের সাধারণ শ্রোতাদের কাছে।
• ‘সরহাদি লুটেরা’ চলচ্চিত্রটি তৈরির সময় সেলিম খানের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় জাভেদ আখতারের। সেলিমের অভিনয়-জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত। ‘সরহাদি লুটেরা’ ছিল তাঁর অভিনীত শেষ ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। এর পরেই তিনি লেখালিখির দিকে ঝুঁকে পড়েন। জাভেদ ছিলেন ছবিটির ক্ল্যাপার বয়। পরে পরিচালক এস এম সাগর সংলাপ রচনার জন্য কাউকে খুঁজে না পেয়ে জাভেদকেই সেই জায়গায় নিযুক্ত করেন। পরেরটা ইতিহাস। এই দু’জনেই পরবর্তী কালে শোলে, ডন, দিওয়ার আর ইয়াদোঁ কি বারাত-এর মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেছিলেন।
• ১৯৬৩ সালের ১৬ জুন। সোভিয়েত মহাকাশচারী ভ্যালেন্তিনা তেরেশকোভা প্রথম মহিলা হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দিলেন। ওই বছরেই আর এক কীর্তি আছে তাঁর। ৩ নভেম্বর তিনি মস্কো ওয়েডিং প্যালেস-এ বিয়ে করেন মহাকাশ-অভিযানে তাঁর সহযাত্রী আন্দ্রিয়ান নিকোলায়েভকে। ওই সময় আন্দ্রিয়ান ছিলেন একমাত্র অবিবাহিত পুরুষ, যিনি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন।
• তিরিশটিরও বেশি ছবিতে এক সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন এবং উত্তমকুমার। নির্মল দে’র ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে প্রথম এই জুটি অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে ‘প্রিয় বান্ধবী’ ছবিতে শেষ এঁদের এক সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়।
• ‘চিলড্রেন’স অ্যান্ড হাউজহোল্ড টেলস’ বইটি জার্মানির রূপকথার এক সংগ্রহ। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮১২ সালে, জেকব এবং উইলহেম গ্রিম-এর হাত ধরে। গ্রিম ভাই নামেই এঁদের সবাই চেনে। বইটি বর্তমানে ‘গ্রিম ভাইদের রূপকথা’ নামে বেশি পরিচিত। ১৮১২ সালের ২০ ডিসেম্বর ৮৬টি গল্প নিয়ে তাঁরা প্রথম খণ্ডের প্রথম সংস্করণটি প্রকাশ করেন। ৭০টি গল্প নিয়ে দ্বিতীয় খণ্ডটি প্রকাশিত হয় ১৮১৪ সালে। দু’টি খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮১৯ সালে। তৃতীয় খণ্ডটি প্রকাশিত হয় ১৮২২ সালে। মোট গল্পের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭০টি। তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৮৩৭ সালে। এর পর চতুর্থ ১৮৪০ সালে, পঞ্চম ১৮৪৩ সালে, ষষ্ঠ ১৮৫০ সালে এবং সপ্তম সংস্করণটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৭ সালে। প্রত্যেক সংস্করণে কখনও কাহিনি যোগ করা হয়েছে, আবার কখনও বাদ দেওয়া হয়েছে। সপ্তম সংস্করণটির কাহিনি সংখ্যা ২১১টি। • যে বছর কৃশানু দে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন, সেই একই বছর সালকিয়া ফ্রেন্ডস থেকে আর এক মিডফিল্ডারও যোগ দেন। নাম, বিকাশ পাঁজি। পাঁজি পরবর্তী কালে মাঠের ভিতরে এবং বাইরে কৃশানু’র ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। কেরিয়ারের প্রায় সমস্ত সময় জুড়েই তাঁরা এক সঙ্গে খেলেছেন এবং এর পাশাপাশি এফ সি আই-তে চাকরিও করেছেন। কৃশানু-বিকাশ জুটির কথা এক সময় লোকের মুখে মুখে ফিরত। এখনও এই সোনার অধ্যায়কে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
• মহাদেব দেশাইকে সবাই চেনে মহাত্মা গাঁধী’র ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে। তিনি ছিলেন আমদাবাদের এক তরুণ আইনজীবী। আইনজীবী থাকার সময়ই তিনি স্থির করেন গাঁধী’র সঙ্গে যোগ দেবেন। সঙ্গে ছিলেন নরহরি পারিখ, মোহনলাল পান্ড্য এবং রবিশংকর ব্যাস। ১৯১৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত, পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে মহাদেবই ছিলেন গাঁধী’র সবচেয়ে অনুগত সচিব। গাঁধী কারাগারে থাকার সময় মহাদেব ‘নবজীবন’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গাঁধীর আত্মজীবনী ‘দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ’ ইংরাজিতে অনুবাদও করেন তিনি।
•
১৯০৩ সালের সালের ১৭ ডিসেম্বর। এরোপ্লেনের ইতিহাসে প্রথম উড়ান। প্রথম মনুষ্যচালিত প্লেনটির আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইটের নাম। উড়ানটির পর উইলবার এবং অরভিল রাইট-এর ভাই লোরিন ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’-এর এক প্রতিনিধি ফ্রাঙ্ক টিউনিসনকে খবর দেন। ‘ডেটন জার্নাল’-এর এক রিপোর্টার হিসেবেও টিউনিসন কাজ করতেন। প্রথম দিকে তিনি চারটি ছোট ছোট উড়ানের খবর ছাপার যোগ্য বলে মনে করেননি। তাই এটা নিয়ে কোনও লেখাও তিনি লিখতে চাননি। পরে অবশ্য তিনি ভুল বুঝতে পারেন এবং তাঁর কাগজেও সংবাদটি ছাপা হয়। |
১ টেস্ট ম্যাচের ইতিহাসে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড কাদের দখলে?
২ আকবর মহেশ দাস’কে এক নতুন নাম দিয়েছিলেন। সেটা কী?
৩ ‘ইনসিটেটাস’ কোন রোম সম্রাটের ঘোড়ার নাম? ৪ মারি এবং পিয়ের কুরি’র সঙ্গে কে ১৯০৩ সালে ফিজিক্সে নোবেল পুরস্কার পান? |
১) রাহুল দ্রাবিড় আর সচিন তেন্ডুলকর, ২) বীরবল,
৩) ক্যালিগুলা, ৪) আঁতোয়াঁ অঁরি বেকারেল |