কিম জং ইল-এর মৃত্যুর পর কি দুই কোরিয়ার মিল হবে?
কিম ইল সুং কিম জং ইল কিম জং আন
উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং ইল-এর মৃত্যু এবং তাঁর পুত্র কিম জং আন-এর অভিষেকের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলনের প্রসঙ্গটি আবার আলোচিত হচ্ছে। কারণ গত ষাট বছরের দেশভাগের অভিজ্ঞতা থেকে হাজার বছরের ঐক্যবদ্ধ কোরিয়ার ইতিহাসে ফেরার স্মৃতিমেদুর ব্যাকুলতা দুই কোরিয়ার মানুষের মনেই। ১৯১০ সালে জাপান কোরীয় উপদ্বীপকে উপনিবেশ বানানোর আগে তো বটেই, পরেও কোরিয়া ঐক্যবদ্ধই ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিম লগ্নে হিরোশিমায় মার্কিন পরমাণু বোমা পতনের পরই স্তালিনের বাহিনী মাঞ্চুরিয়া অভিযানের অঙ্গ হিসাবে কোরিয়া দখল করে ‘থার্টি-এইট্থ প্যারালাল’ (৩৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখা) পর্যন্ত চলে আসে। রুজভেল্টের সঙ্গে স্তালিনের পিঠে-ভাগের চুক্তি তেমনই হয়েছিল। কিন্তু পাছে সোভিয়েত ইউনিয়ন সমগ্র কোরিয়া গ্রাস করে ফেলে, তাই তড়িঘড়ি মার্কিন বাহিনীও ‘প্যারালাল’-এর দক্ষিণ অংশে মোতায়েন হয়ে যায়। সেটা ১৯৪৫ সাল।
এই গোটা পর্বে অবিভক্ত কোরিয়ার জাতীয়তাবাদীরা ঔপনিবেশিকতামুক্ত স্বাধীন কোরিয়ার যে পরিকল্পনা করেছিলেন, বৃহৎশক্তিরা তা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়। কারণ কোরীয়রা কী চান, সেটা তাঁদের জিগ্যেস করার কথা কারও মনে পড়েনি।
জাতীয়তাবাদী কোরীয়দের মধ্যে বাম-ঘেঁষা মানুষ বেশি ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কিন প্রভাবিত ধনতন্ত্রী প্রশাসনের সংঘাত লেগে যায়। অন্য দিকে সোভিয়েত প্রভাবিত বামপন্থীরা কিম ইল সুং-এর নেতৃত্বে উত্তরে ক্ষমতাসীন হয়েই ব্যাপক ভূমি-সংস্কার ঘটান, যার ফলে সম্পত্তিবান কোরীয় পরিবারগুলি ও তাঁদের সঙ্গীসাথীরা উদ্বাস্তু হয়ে দক্ষিণে পাড়ি দেন এবং উত্তরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের অপেক্ষা করতে থাকেন। এই সংঘাত ও উত্তেজনা এবং তা থেকে ছড়িয়ে পড়া সীমান্ত-সংঘর্ষ ক্রমে ১৯৫০ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আকার নেয়, যখন উত্তর কোরিয়া দক্ষিণকে আক্রমণ করে।
তিন বছর পর থার্টিএইট্থ প্যারালাল বরাবর চার কিলো মিটার দীর্ঘ একটি ‘ডিমিলিটারাইজ্ড জোন’-এ সম্মত হয়ে যুদ্ধের ইতি। রাষ্ট্রপুঞ্জের বাহিনী সেই ‘জোন’ পাহারা দেয়। এরই মধ্যে ফাঁকে-ফাঁকে যেমন দুই কোরিয়া থেকেই পরস্পরের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তা নিয়ে তিক্ত মনকষাকষি চলেছে, তেমনই উপদ্বীপকে তার বিভাজন-পূর্ব চেহারায় ফিরিয়ে দেবার ভাবনাও কোরীয়দের তাড়া করে ফিরেছে। এখন কিম জং ইল-এর প্রয়াণের পর দুই কোরিয়ার মিলন-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দু’দেশের সাধারণ মানুষ মিলন চান। কিন্তু রাষ্ট্রনীতি অতি বিষম বস্তু।
ইরান যে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সি (আই এ ই এ) বহু দিন ধরেই এই অভিযোগ করছে। ইরানও সমানেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, তারা নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এন পি টি)-র বাইরে যায়নি। তবে, তেহরানের কথায় পশ্চিম দুনিয়ার বিশ্বাস নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও নিষেধাজ্ঞা আছে। আর, সেই ১৯৮০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক খারাপ। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিল, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধ না করলে তার পেট্রোলিয়ম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ইরানের জবাব: সে ক্ষেত্রে উপসাগরের হরমুজ প্রণালী আটকে দেবে তারা। দুনিয়ার পেট্রোলিয়ম বাণিজ্যের একটা বড় অংশ ওই জলপথটি দিয়ে চলাচল করে। অতএব, ওয়াশিংটনের প্রত্যুত্তর: হরমুজ প্রণালী খোলা রাখার জন্য যা করতে হয়, তারা করবে। এই টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ইরান ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করল। তেহরানের দাবি, ওটা লং ডিস্ট্যান্স মিসাইল, কিন্তু বাস্তবে মিসাইলটির পাল্লা মাত্র ২০০ কিলোমিটার। মিসাইলটি ইরানেই তৈরি, চিনের কারিগরি সহায়তায়। রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ চিন চিরকালই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরোধী, এবং ক্রমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিস্পর্ধী হয়ে উঠছে। ইরানের এই পরীক্ষা আসলে গোটা দুনিয়াকে একটা বার্তা দেওয়া আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র তো আছেই, সেটাকে নিশানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যও আমরা তৈরি হচ্ছি। ইরানের আসল লক্ষ্য অবশ্যই আমেরিকা। কারণ, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরম মিত্র দেশ ইজরায়েলের ওপর আক্রমণ হানতে পারে। ইরানের তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা অর্থনৈতিক কারণেই কঠিন, কারণ বিশ্বের মোট তেল রফতানির একটা বড় অংশ ইরান থেকে আসে। কিন্তু, সেই অসুবিধা যদি মেনে নিতে রাজিও থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্যালিস্টিক মিসাইলের কূটনৈতিক চাপ সামলানো তার পক্ষে সত্যই কঠিন।
বয়সসীমা বৃদ্ধি
• গ্রুপ সি এবং ডি পদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তিন বছর বাড়াল রাজ্য সরকার।

নাইট উপাধি
• রসায়নে নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী বেঙ্কটরমন রামকৃষ্ণণকে নাইট উপাধি দিল ব্রিটিশ সরকার।

পি কে আয়েঙ্গার
• ৮০ বছর বয়সে মারা গেলেন ভারতের প্রাক্তন পরমাণু বিজ্ঞানী পি কে আয়েঙ্গার। ১৯৭৪ সালে পোখরানে যে পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষা করে ভারত, সেটির নকশা তিনিই করেন।

সত্যদেব দুবে প্রয়াত
• ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলেন নাট্য পরিচালক সত্যদেব দুবে।

নতুনকণা
• ঈশ্বর কণার খোঁজে লিপ্ত লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার একটি নতুন কণা Chib (3P) আবিষ্কার করল। এটিও একটি বোসন, অর্থাৎ, যে কণা অন্য জাতের কণার মধ্যে বিক্রিয়ায় সাহায্য করে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.