ভারতের জার্সি গায়ে অভিষেকেই গোল। পঁচানব্বইয়ের সেই নেহরু কাপের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র উনিশ।
আর পঁয়ত্রিশে জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ভাইচুং ভুটিয়া খেলতে নামছেন রবেন-মুলার-গোমেজদের বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধেয়।
ষোলো বছরের বর্ণময় ফুটবলজীবনের শেষ ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলবেন কি না তা নিয়ে অবশ্য সংশয় থাকছে। ভাইচুং বলেছেন, “বায়ার্নের বিশ্বমানের দলের বিরুদ্ধে নামতে আমি মরিয়া। মানসিক ভাবেও চাঙ্গা। কিন্তু ৯০ মিনিট মাঠে থাকার মতো ফিটনেস এখন আছে কি না জানি না।” বিদায়ী ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিতে চলা ভাইচুং যোগ করেছেন, “সবাই চায় আম্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে অবসর নিতে। চোটের জন্য সেটা পারিনি। বায়ার্ন ম্যাচ সেই সুযোগ এনে দিয়েছে।” |
ভারতের হয়ে শেষ প্রস্তুতিতে ভাইচুং। রবিবার দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই |
ভাইচুংয়ের শেষ সরকারি আন্তর্জাতিক ম্যাচ এশিয়া কাপে। কোরিয়ার বিরুদ্ধে সে দিন খেলেন শেষ পনেরো মিনিট। তার পর প্রায় এক বছর চোটে ভুগে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন গত বছর। ভাইচুংয়ের কথায়, “ভারতীয় দলের সঙ্গে বায়ার্নের তুলনাই চলে না। ওরা প্রায় জার্মানির জাতীয় দল। আমাদের কাছে এটা একটা বিরাট সুযোগ। আমাদের কতটা উন্নতি দরকার সেটা এই ম্যাচে বোঝা যাবে। তবে আমার কাছে এটা উপভোগ করার ম্যাচ।”
ভারতের কোচ স্যাভিও মেদেইরা আবার খুশি ভাইচুংয়ের বিদায়ী ম্যাচের প্রতিপক্ষ ‘হাইপ্রোফাইল’ হওয়ায়। “ভাইচুং যে বায়ার্নের বিরুদ্ধে খেলে জাতীয় দলের হয়ে খেলা শেষ করবে, সেটা আমার কাছেও আনন্দের।” স্যাভিওর মতে, জাতীয় দলে ভাইচুংয়ের জায়গা ভরাট করতে জেজে-সুনীল ছেত্রীদের এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ভবিষ্যতে ফেডারেশনে ভাইচুং যোগ দিলে ভারতীয় ফুটবলেরই উপকার, তা-ও মনে করেন স্যাভিও। স্বয়ং ভাইচুংয়ের আপাতত লক্ষ অবশ্য অন্য। “আমার ইউনাইটেড সিকিমকে ভারতের মডেল ক্লাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তাতেও তো ভারতীয় ফুটবলেরই উপকার,” বলেছেন তিনি। |