|
|
|
|
মাটি খুঁড়েও পাওয়া গেল না দেহাবশেষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নিখোঁজ ৬ জনের দেহাবশেষ মিলবেএই আশায় মাটি খোঁড়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু, দিনের শেষে ছেঁড়া জুড়ো ও পোশাকের অংশবিশেষ ছাড়া তেমন কিছুই মিলল না। শনিবার এ ঘটনা মেদিনীপুর সদর ব্লকের হাতিলোটের জঙ্গলে।
সদর ব্লকের চিলগোড়া, গঙ্গাধরপুর, গোয়ালডাঙ্গা, পলাশবনি ও তার আশপাশ এলাকার ৬ জন দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁরা সবাই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলে পরিচিত। স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাবে, এই আশায় বসে রয়েছেন তাঁদের স্ত্রী ও পরিজনেরা। তাঁদের অনেকেই এত দিনে অবশ্য নিকট জনের বেঁচে ফেরার আশা একপ্রকার জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, অন্তত দেহাবশেষটুকু পাওয়া যাবে। এই ভাবনা থেকেই শনিবার সকালে অনেকে জড়ো হয়েছিলেন হাতিলোট জঙ্গলে। মেশিন দিয়ে দীর্ঘক্ষণ মাটি খুঁড়েও দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেল না। দিন শেষে পুলিশের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিখোঁজদের পরিজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ তৎপর নয়। তাই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অবিলম্বে সিআইডি তদন্ত শুরু করা উচিত।
গণেশ দে, সত্যজিৎ বর্মন, কার্তিক মাহাতো, সর্বেশ্বর দোলুই, ঘনশ্যাম দাস ও জয়ানন্দ শূর--এই ৬ জন দেড় বছরের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। অভিযোগ, জনগণের কমিটির লোকজন-মাওবাদীরাই তাঁদের অপহরণ করেছিল। মিছিলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, কেউই আর বাড়ি ফেরেননি। একটি নির্দিষ্ট সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, হাতিলোটের জঙ্গলে কারও দেহাবশেষ মিলতে পারে। তারই ভিত্তিতে এ দিন মেশিন দিয়ে মাটি খোঁড়া হয়। স্বামীর দেহাবশেষ মিলতে পারে, এই আশায় এসেছিলেন সুমিত্রা দে, খুকুমণি মাহাতো-রা। পুলিশেরই এক সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে বাঁকুড়ায় আত্মসমর্পণকারী এক মাওবাদী নেতাকে জেরা করেই জানা যায়, মেদিনীপুর সদর ব্লকের হাতিলোটের জঙ্গলে একাধিক দেহ পোঁতা রয়েছে। সে অনুযায়ীই এ দিন মাটি খোঁড়াখুঁড়ির ব্যবস্থা হয়। কিন্তু, দিনের শেষে চোখের জল নিয়েই বাড়ি ফেরেন নিখোঁজদের পরিজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, “দীর্ঘ দিন হল আমাদের ঘরের মানুষের খোঁজ নেই। অপহরণকারীরা এখনও ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ ধরছে না।” পুলিশি তৎরতার দাবিতে পথ অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
এ দিকে, গোয়ালতোড়ের মাকলি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পেরুয়াবাঁধের কঙ্কাল-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম গণেশ আহির। বাড়ি আমলাশুলির পুঁইসরায়। শুক্রবার রাতে মেদিনীপুর শহর থেকেই তাঁকে ধরা হয়। শনিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতের ৭ দিন পুলিশি হেফাজত হয়। |
|
|
|
|
|