|
|
|
|
আপাতশান্ত জঙ্গলমহলে এ বার জাঁক পুলিশক্রীড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদী প্রভাবের জেরে এতদিন কোনও রকমে পুলিশক্রীড়া হত পশ্চিম মেদিনীপুরে। কিন্তু মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির মৃত্যুর পরে আপাতশান্ত জঙ্গলমহল। তাই এ বার জাঁকজমকের সঙ্গেই পুলিশক্রীড়া হচ্ছে জঙ্গলমহলে। খেলাধূলার পাশাপাশি বিনোদনের জন্য থাকছে পদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ! শুধু এটাই নয়, মাওবাদী প্রভাবে জেরবার পুলিশের কাছে একদা ব্রাত্য সাংবাদিককুলও আমন্ত্রিত হয়েছে সেই বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে।
মাওবাদী প্রভাব যখন জেলাকে গ্রাস করতে পারেনি, তখন পুলিশক্রীড়াকে ঘিরে মাতামাতি ছিল যথেষ্টই। সকাল থেকেই পদস্থ পুলিশকর্তারা হাজির হয়ে যেতেন পুলিশ লাইনের মাঠে। খেলার পাশাপাশি গল্প, আড্ডাসবই চলত। কিন্তু মাওবাদী প্রভাব চরম আকার নেওয়ায় হঠাৎ করেই বদলে যায় চিত্রটা। নাম কা ওয়াস্তে প্রতিযোগিতা হত। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় জঙ্গলমহলের পুলিশকর্মী বা রিজার্ভ ফোর্স সেই খেলায় যোগ দিতে পারত না। |
|
সাম্প্রতিককালে জঙ্গলমহলে নিহত নিরাপত্তারক্ষীদের শ্রদ্ধা নিবেদন পুলিশক্রীড়ায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
কিষেণজির মৃত্যুর পর জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নতুন করে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। উল্টে যৌথ বাহিনীর তল্লাশিতে মাওবাদী সন্দেহে একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছেন। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। হামলার আশঙ্কা কমে যাওয়ায় পুলিশক্রীড়ায় ফিরে এসেছে আগের উন্মাদনা। রবিবার মেদিনীপুরে পুলিশক্রীড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি বিনীত গোয়েল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং জেলা ও দায়রা বিচারক মীর দারা শেকো। ডিআইজি বলেন, “খেলাধূলার গুরুত্ব অপরিসীম। শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকে। লড়াইয়ের ময়দানেও সুফল পাওয়া যায়।” সোমবার পর্যন্ত খেলা চলবে। প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি সমস্ত থানার ওসি-আইসি, ডিএসপি ও এসডিপিও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সুপার, এমনকী সাংবাদিকদেরও একটি দল করা হয়েছে। যাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবলে যোগ দেবেন। |
|
|
|
|
|