নদীর জলে বিভিন্ন প্রজাতির মৃত মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল তালমা এলাকায়। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বেলাকোবা অঞ্চলের তালমায় এলাকায় স্থানীয় ডেরিকামারি নদীতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় চাউড় হতেই তালমা সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন ওই মরা মাছ সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকেই মাছ কিনে নিয়ে যান অনেকে। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করেও প্রশাসনের কাউকে পাওয়া যায়নি। পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা রায় বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন। বলেন, “বিকালের দিকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মৎস্য দফতরে বিষয়টি জানাবো। তবে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি নিরঞ্জন সরকার বলেন, “খবর পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।” তালমার পাশে সারিয়াম এলাকার বাসিন্দা রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সত্যেন মণ্ডল বলেন, “খবরটা পেলেও ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। খোঁজ নিচ্ছি।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৭ টা নাগাদ স্থানীয় এক কিশোরের নজরে পড়ে বিষয়টি। এর পরেই এলাকায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে নদীর ধারে প্রচুর লোকজনের ভিড় জমে পড়ে। মূহুর্তের মধ্যেই নদীতে নেমে বহু লোকজন মাছ সংগ্রহ করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউ কেউ জাল নিয়ে নেমে পড়ে নদীতে। নিমেষের মধ্যে কয়েক মণ মরা মাছ লোপাট হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় রায়, মণীন্দ্রনাথ রায়, সুশীল মণ্ডলরা জানান, বোয়াল, শোল, মাগুর, সিঙ্গি, টাকি, পাবদা, ট্যাংরা, কই, বোরোলি, পুঁটি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির নদীয়ালি মাছ ভাসতে দেখা যায়। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, তালমাহাটের কাছেই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি সেতুর ধারেই ডেরিকামারি নদী। তালমা থেকেই ওই নদীর উৎস বলে জানান বাসিন্দা। সেতুর জলের স্রোতের ধাক্কায় সেখানে একটি বেশ বড়সড় জলাশয় তৈরি হয়ে তালমা নদীতে মিলে গিয়েছে। সেখান থেকে সদর ব্লকের বাহাদুর অঞ্চল হয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। ওই নদীর পাশেই বাড়ি পঞ্চায়েত সদস্য পরেশ রায়ের। পরেশবাবু জানান, নিষেধ করা সত্ত্বেও কেউ কারও কথা শুনছেন না। তিনি নিজেও নদীতে নেমে ওই মরা মাছ ধরেছেন। তিনি বলেন, “তিনটি বোয়াল মাছ পেয়েছি। কী করে ওই ঘটনা ঘটল সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। মনে হচ্ছে কেউ বিষ ঢেলে দিয়েছে।” নিশি দাস নামে এক জেলে বলেন, “সবাই তুলছেন, তাই নিজেও খাবার জন্য মাছ তুলেছি। বিক্রিও করব।” |