টুকরো খবর
পদক জয়ের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ধার শোধের চিন্তা
নিজস্ব চিত্র।
টাকার অভাবে বিদেশে যোগাসন প্রতিযোগিতায় যোগদানই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ধার দেনা করে বিদেশে পাড়ি দেন হুগলির শ্রীরামপুর মাহেশের প্রতিবন্ধী যুবক শান্তনু অধিকারী। ফিরে এলেন রুপোর পদক গলায় ঝুলিয়ে। তবে, পদক জয়ের আনন্দকে ঢেকে দিয়েছে নতুন চিন্তা। এখন শান্তনুর ভাবনা কী ভাবে শোধ করবেন দেনা। সম্প্রতি হংকং যোগা ফেডারেশন এবং দয়াল লেজার অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সেখানে আন্তর্জাতিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় ‘বিশেষ প্রতিভাসম্পন্ন’ হিসেবে যোগদানের সুযোগ পান দরিদ্র পরিবারের ছেলেটি। কয়েকজনের ব্যক্তিগত সাহায্য এবং শুভাকাঙ্খীদের চেষ্টায় সেখানে যান শান্তনু। ৩২টি দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে প্রতিদন্দ্বিতা করেন। নিজের বিভাগে শান্তনু দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তবে বিদেশ থেকে সম্মান পেলেও সরকারি সাহায্য নিয়ে ক্ষোভ শান্তনুর গলায়। তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থার কথা জেনে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন। ফিরে এসে ক্রীড়া দফতরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এখনও টাকা হাতে পাইনি।” শান্তনুর বাবা জয়দেববাবু অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী। তিনি জানান, হংকংয়ে যাওয়া-আসা এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় সবটাই জোগাড় করতে হয়েছে চেয়ে চিন্তে। যাঁরা ওই সময় ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞ। ছোটবেলা থেকেই ডান পায়ে এবং হাতে সমস্যা রয়েছে শান্তনুর। স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পারেন না। প্রতিবন্ধকতা জয় করেই যোগাসন, দেহসৌষ্ঠব এবং ভারত্তোলনে পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর আশা, সরকার পাশে দাঁড়ালে সংসারের ‘প্রতিবন্ধকতা’ও জয় করতে পারবেন।

মিলের মধ্যেই টাকা ছিনতাই
মিলের ভিতরেই এক কর্মীর কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শ্রমিকদের বেতনের টাকা দুষ্কৃতীরা ছিনিয়ে নিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ উঠল হুগলির ভদ্রেশ্বরের নর্থব্রুক জুটমিলে। পুলিশ ও মিল সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ সেখানকার এক কর্মী মিলের একটি বিভাগ থেকে শ্রমিকদের বেতনের ৫ লক্ষ টাকা ব্যাগে ভরে অন্য বিভাগে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই কর্মীর দাবি, সেই সময় দুই যুবক তাঁর কপালে রিভলভার ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাকা হাতিয়ে মিলের পাঁচিলের গায়ে রাখা একটি মই বেয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে পুলিশ তদন্তে আসে। তবে, গোটা বিষয়টি নিয়ে ধন্ধে পড়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, বাইরে থেকে কোনও দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকে এই কাজ করল, না কি এর পিছনে মিলেরই কারও হাত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এসডিপিও (চন্দননগর) তথাগত বসু বলেন, “সব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই তদন্ত হচ্ছে।” শনিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.