জয়পুরে কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূলের
ন্নয়নমূলক কাজকর্মে আগ্রহী নন, এই অভিযোগ তুলে হাওড়ার জয়পুরের ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান গ্রাম পঞ্চায়েতে জোটসঙ্গী কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। গত ২ জানুয়ারি ওই অনাস্থা প্রস্তাব আমতা-২ এর বিডিও-র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বিডিও পিনাকী সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটির দিন ঠিক করা হবে। প্রধান করুণা বেরা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্যসংখ্যা ১৩। ২০০৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করেই এই পঞ্চায়েতে জেতে। সেই সময়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭ এবং ২ জন। ৪ জন সিপিএমের। প্রধান পদটি পায় কংগ্রেস। উপপ্রধান হন তৃণমূলের। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে কংগ্রেসের তিন এবং সিপিএমের দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে, ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা বেড়ে হয় সাত জন। এই সাত জন পঞ্চায়েত সদস্যই প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে।
আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি সেলিমুল আলম বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজকর্মে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান আগ্রহী ছিলেন না। এখন কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। ওই পঞ্চায়েতে আমাদের দলের সদস্যসংখ্যা এখন বেশি। তাই উন্নয়নের স্বার্থে আমরা একক ভাবে পঞ্চায়েত চালাব বলে ঠিক করেছি।”
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান করুণাদেবী বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবেই সকলকে নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করছিলাম। তা সত্ত্বেও কেন আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হল বলতে পারব না।” আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের দাবি, “সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যের ফলে দীর্ঘদিন এই পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ ছিল। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের দলীয় প্রধান গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সবে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁর সেই প্রচেষ্টা বানচাল করতেই তৃণমূল চক্রান্ত করছে।” পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে পঞ্চায়েত সদস্যেরা ভোট দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.