শুধু শিক্ষা নয়, মানুষ গড়তে গেলে প্রয়োজন শারীরিক এবং
নৈতিক শিক্ষাও।
এই লক্ষ্য নিয়েই নবনির্মিত লালা লাজপত রায় পাবলিক স্কুল চালাতে চান শহরের পঞ্জাবিদের সংগঠন ‘পঞ্জাবি বেরাদরি’র কর্তারা। সংগঠনের সম্পাদক সিদ্ধার্থ কপূর এবং স্কুল প্রকল্পের চেয়ারম্যান সতীশ কপূর জানান, প্রায় ২০ বছরের চেষ্টায় স্কুলটি গড়ে তুলেছেন তাঁরা। সিবিএসই বোর্ডের অধীনে আপাতত নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা চলবে। ভবিষ্যতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যাবে স্কুলের পঠনপাঠন। |
সেই স্কুলবাড়ি। নিজস্ব চিত্র |
তপসিয়ায় ১১৬ কাঠা জমির উপরে গড়া ওঠা এই স্কুলটি রবিবার উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রবীণতম সদস্য এবং প্রাক্তন সভাপতি পুরুষোত্তমদাস শেঠি। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খানের আসার কথা থাকলেও গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি আসতে পারেননি। সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা জানান, ১৯৯১ সালে জমি কেনা হলেও নানা আইনি জটিলতায় স্কুল গড়তে দীর্ঘ সময় লেগে গিয়েছে।
তবে, সেই জটিলতার সময়ে
জাভেদ খান এবং তৎকালীন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁদের সাহায্য করেছিলেন, সে কথাও জানাতে ভোলেননি সংগঠনের সদস্যরা। সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, চারতলা এই স্কুলবাড়ি গড়ে উঠেছে এ রাজ্যে বসবাসকারী পঞ্জাবিদের অনুদানে। এখানে ঝকঝকে শ্রেণিকক্ষের সঙ্গে রয়েছে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবরেটরি। স্কুলে বিশেষ অনুষ্ঠান ও বৈঠকের জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে অডিটোরিয়াম এবং কনফারেন্স রুমেরও।
স্কুলটির অন্দরসজ্জাতেও রয়েছে রুচির পরিচয়। ছোটদের ক্লাসগুলি সাজানো হয়েছে নানা রঙের জলচৌকি, ছবি এবং মুখোশ দিয়ে। রয়েছে খেলাধূলার সরঞ্জামও। আর একটু বড় ক্লাসের ছাত্রদের জন্য রয়েছে জিমন্যাসিয়াম, ইন্ডোর গেমসের ব্যবস্থাও। সতীশ কপূর জানান, ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার দিকে নজর রাখা হবে। থাকবেন উপযুক্ত শিক্ষকও।
তবে, এখানেই থামতে চান না সংগঠনের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, আপাতত ৪০ হাজার বর্গফুটের উপরে স্কুলটি গড়ে তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতে একটি কলেজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। খোলা হবে ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারও। |