অবশেষে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবণের গেট। রাজ্য পর্যটন দফতরের নির্দেশে রবিবার সকাল থেকে গেট খুলে দেওয়ায় পর্যটকেরা যেমন খুশি, তেমনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বক্রেশ্বর শিব মন্দিরের সেবাইতরা। প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উষ্ণপ্রস্রবণের দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক ঠিকাদারকে যিনি বক্রেশ্বরের সৌন্দর্যায়নের কাজে যুক্ত ছিলেন। তার পরে কী হবে রাজ্য পর্যটন দফতর ও প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। ২০১০ সালের মে মাস থেকে বক্রেশ্বর পর্যটনকেন্দ্রের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নের কাজকর্ম শুরু করেছিল রাজ্য পর্যটন দফতর। |
দেড় বছরের বেশি সময় পরে কাজ ‘সম্পূর্ণ’ হয়ে গেলে ২৯ ডিসেম্বর উষ্ণপ্রস্রবণের উদ্বোধন করেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ। কিন্তু তার পরেও উষ্ণপ্রস্রবণের গেট না খোলায় ক্ষোভ বাড়ছিল ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে। অভিযোগ ছিল, সারা বছর এই পর্যটনকেন্দ্রের শিব মন্দিরে পুজো দিলেও শীতকালেই গরম জলে স্নানের মজা নিতে পারেন পর্যটকেরা। কিন্তু দীর্ঘ সময় উষ্ণপ্রস্রবণের গেট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যবসায়ী ও সেবাইতরা। তবে রবিবার গেট খোলায় তাঁরা খুশি। মন্দির সেবাইত সমিতির সম্পাদক রাসবিহারী আচার্য, সেবাইত তাপস রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম। ভবিষ্যতে যেন পর্যটকেরা এখানে এসে আনন্দ পান সেটা নিশ্চিত হলে সকলের ভাল।” খুশি এ দিন বক্রেশ্বরে আসা পর্যটকেরা। দুর্গাপুরের রঘুনাথ সিংহ বা মুর্শিদাবাদের প্রহ্লাদ দত্তদের কথায়, “উষ্ণপ্রস্রবণে স্নান করতে পেরে খুব ভাল লাগল।” |