বারবার দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের পক্ষে ইট কেনা মুশকিল হয়ে পড়ছে। এই দাবিতে কালনার পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতে ১০টি ইটভাটার সামনে বাঁশের বেড়া দিল তৃণমূল। এর জেরে রবিবার সারা দিন কোনও ইট সরবরাহ করা যায়নি বলে অভিযোগ ভাটা মালিকদের।
ইটের মূল্যবৃদ্ধি, ভাটা থেকে দূষণ ছড়ানো, শিশু শ্রমিক নিয়োগ, সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগে শনিবার থেকে ইটভাটাগুলির প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেয় তৃণমূল। তার জেরে উৎপাদন হলেও ইট সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার বিকেলে কালনা বণিকসভা ভবনে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা ইটভাটা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। সংগঠনের সম্পাদক সুশীল মিশ্র বলেন, “এই ঘটনা নিন্দনীয়। সোমবার বণিকসভার তরফে মহকুমাশাসক ও তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।” |
কালনা শহর সংলগ্ন এই এলাকার ইটভাটাগুলি নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, সম্প্রতি ইটের দাম অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক হাজার ভাল ইটের দাম গত বছর যেখানে ৬ হাজার টাকা ছিল, এখন তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট হাজারে। এ নিয়ে শুক্রবার তৃণমূল পরিচালিত সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়। ডেকে পাঠানো হয় স্থানীয় ১০টি ইটভাটার মালিকদের। পূর্ব সাতগাছিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বলাই উপাধ্যায়ের দাবি, “বৈঠকে এক জন ভাটা মালিক ছিলেন। আর এক জন ফোনে আসতে পারবেন না বলে জানান। বাকিরা বৈঠক অগ্রাহ্য করেন। তাই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” তিনি জানান, ভাটা মালিকেরা পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনায় বসার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তাঁরা বাঁশের বেড়া তুলে নেবেন।
এ দিকে, মহকুমা ইটভাটা অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষোভ, পঞ্চায়েত অথবা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন এ ভাবে ইটের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। তাদের দাবি, মালিকদের এ ভাবে পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠানো অপমানজনক। তাই তাঁরা যাননি। সম্পাদক সুশীলবাবু আরও জানান, কোনও অভিযোগ থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে পারেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য আমাকে কিছু জানাননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। |