সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে আন্দোলনে নামল রায়গঞ্জ ব্লক কংগ্রেস কমিটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সংগঠনের কয়েকশো কর্মী সমর্থক রায়গঞ্জের বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। রায়গঞ্জের বিডিও সরকারি কাজে বাইরে থাকায় দলের তরফে জয়েন্ট বিডিওকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। টানা আড়াই ঘন্টা আন্দোলন চলার পর ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জয়েন্ট বিডিও সুমা বড়াল বলেন, “সংগঠনের দাবি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” গত নভেম্বর মাস থেকে রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই কাজ চলবে। ব্লকের কয়েক হাজার চাষি ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল। এ বছর ৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় দেড় লক্ষ কুইন্টাল আমন ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষিরা ধান কেটে কেউ নিজেদের বাড়িতে আবার কেউ খামারে মজুত করতে শুরু করেছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, ধান ওঠা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে সহায়ক দামে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কাজ শুরু না হওয়ায় চাষিরা ফড়েদের কাছে কুইন্টাল প্রতি ৮০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিন কংগ্রেসের তরফে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি দরে ধান কেনার দাবি জানানো হয়। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিডিও অফিসের সরকারি কাজকর্ম অচল করে দেওয়া হবে বলে ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। রায়গঞ্জ ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি লিয়াকত আলি বলেন, “বহু চাষি জমি বন্ধক দিয়ে ও চড়া সুদে মহাজন এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষে নেমেছিলেন। এ বছর বিগত বছরগুলির তুলনায় ধানের ফলন বেড়েছে। ধান ওঠার পর ঋণদাতারা তাগাদা শুরু করায় চাষিরা বিভিন্ন হাটে ফড়েদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কুইন্টাল প্রতি ৮০০ টাকা দরে ধান বিক্রি হলে ঋণ শোধ করা তো দূরের কথা, চাষের খরচও উঠবে না।” উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের নেতৃত্বে দলের ব্লক কমিটি কর্মী সমর্থকেরা আন্দোলনে নামেন। পবিত্রবাবু বলেন, “ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কুইন্টাল প্রতি ১০৮০ টাকা দরে ধান কেনার কাজ শুরু না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্লক প্রশাসনের সমস্ত কাজকর্ম অচল করে দেব।” |