|
|
|
|
প্রতারণা-মামলা |
শিক্ষকের নামে আরও অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শিলিগুড়ি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নন্দদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে আরও একটি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ল। বুধবার শিলিগুড়ির পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা সুমনা দাস এই বিষয়ে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ জমা দেন। তাঁর অভিযোগ, নন্দদুলালবাবু বেঙ্গালুরুর একটি লগ্নি সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয়। ওই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করলে তিনি প্রতি মাসে ১৭ শতাংশ হারে সুদ পাবেন বলেও আশ্বাস দেন। ওই লগ্নি সংস্থার একটি অফিসও খোলেন তিনি। অফিসটি তাঁরই পরিবারের লোকেরা চালাতেন। সুমনা দেবীর দাবি, অফিস দেখে এবং নন্দদুলালবাবুর কথায় বিশ্বাস করে তিনি ওই সংস্থায় ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু এক পয়সা সুদ পাননি। আসল টাকাও ফেরত পাননি। বরং কিছুদিন পরে অফিস তুলে দেওয়া হয়। সুমনা দেবীর দাবি, তিনি এই ব্যাপারে যোগাযোগ করলে নন্দদুলালবাবু জানান, কমিশনের লোভেই তিনি এই সংস্থায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি সুমনা দেবীর আইনজীবী সুনীল সরকারের অভিযোগ, “এই সংস্থায় বিভিন্ন লোককে বিনিয়োগ করিয়ে নন্দদুলাল বাবু প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা টাকা আয় করেছেন। অথচ বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেননি। এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে যাবতীয় নথি জমা দেওয়া হবে।” শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মঙ্গলবারই অবসরপ্রাপ্ত ওই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি আদালতে মামলা দায়ের করেন জীবন বিমা নিগমের কর্মী রাজীব ভদ্র। নন্দদুলালবাবুর কথায় বিশ্বাস করে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় বিনিয়োগ করে তিনি দেড় লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন বলে রাজীববাবু আদালতে অভিযোগ করেন। রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দফতরে পৃথক অভিযোগে জানান, বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায় বিনিয়োগ করে আরও ৫ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক তখনই জানান, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো এবং আদালতে তিনি এই ব্যাপারে সমস্ত প্রমাণ জমা দেবেন। |
|
|
|
|
|