চা-বাগানে শুরু অভিযান
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বকেয়া থাকায় ডুয়ার্সের চা বাগানগুলি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ডুয়ার্স জুড়ে ৬ টি বাগানে অভিযান চালানো হয়। গত মাস থেকে এখনও পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ১৩ হাজার কেজি তৈরি চা পাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যারা অনুমানিক গড়পড়তা বাজার দর প্রায় সাড়ে ৩১ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের তোতাপাড়া, মোগলকাটা, বান্দাপানি এবং সুরেন্দ্রনগর চা বাগানে পিএফ দফতর থেকে অভিযান চালানো হয়। সুরেন্দ্রনগর চা বাগানে কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা না-হলেও অন্য তিনটে চা বাগান থেকে প্রায় ৫০ হাজার কেজি চা পাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চা পাতা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তোতাপাড়া চা বাগানের ম্যানেজারের চেম্বারও সিল করেন ওই দফতরের আধিকারিকেরা। বুধবারে ডুয়ার্সের সাইলি ও নয়া সাইলি চা বাগানে অভিযান চালিয়ে ৪৩ হাজার কেজি চা পাতা বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত ২৫ নভেম্বরে বকেয়া পিএফ পরিশোধ না করার অভিযোগে ডুয়ার্সের ভার্নাবাড়ি, মধু এবং সুভাষিনী চা বাগানে অভিযান চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার কেজি চা পাতা। শুধুমাত্র ভার্নাবাড়ি চা বাগান থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কেজি চা পাতা। জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক পিএফ দফতরের রিকভারি অফিসার বনমালী কুণ্ডুর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। ওই দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৯ টি চা বাগানে হানা দেওয়া হয়েছে। চলতি মাস জুড়ে এই অভিযান চালবে। দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বকেয়ার তালিকায় শীর্ষে থাকা চা বাগানগুলিতে অভিযান চালানোর কাজ শুরু হয়েছে। মধু চা বাগানে প্রায় প্রায় তিন কোটি ২৪ লক্ষ, সুভাষিনী চা বাগানে প্রায় তিন কোটি, সাইলি বাগানে ২ কোটি, নয়া সাইলিতে দেড় কোটি টাকার বেশি পিএফ বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়াও বাকি সব বাগানগুলিতেই প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি বকেয়া রয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের প্রাপ্য পিএফের টাকা পরিশোধ না করায় অবসরের পরে শ্রমিকরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পিএফ দফতর জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধ করার জন্য নিয়মিত চা বাগানগুলির মালিকপক্ষকে তাগাদা দেওয়া হয়। একাংশ বাগানের পক্ষ থেকে নিয়মিত পিএফের টাকা জমা দিলেও অনেক চা বাগানের ক্ষেত্রেই পিএফের বকেয়া টাকার পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বারবার নির্দেশ দিয়েও কাজ না হওয়ায় অভিযান শুরু করেছে পিএফ দফতর। বিষয়টি নিয়ে চা বাগানের মালিকপক্ষের কোনও সংগঠনই প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে একটি সংগঠনের রাজ্যের মুখপাত্র বলেন, “সংগঠন থেকে বহু বারই প্রতিটি চা বাগানের মালিকপক্ষকে পিএফের টাকা পরিশোধ করে দিতে বলা হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.