বধূ খুনে গ্রেফতার শাশুড়ি |
দাবিমতো পণ না-পাওয়ায় এক বধূকে খুনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার মঠেরদিঘি এলাকার বাসিন্দা চন্দনা সরকার (২৩) নামে ওই মহিলার দেহটি তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ময়না-তদন্তে পাঠায়। বধূর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় চন্দনার শাশুড়ি রঞ্জিতাদেবীকে। পুলিশ জানায়, বধূর স্বামী-সহ অভিযুক্ত আরও সাত জন পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ক্যানিংয়ের পিয়ালির বাসিন্দা বিধানচন্দ্র সরকারের মেয়ে চন্দনার সঙ্গে বিয়ে হয় মঠেরদিঘির কমল সরকারের। বিয়ের পর থেকেই দেনা-পাওনা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীদের কাছে কমল ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানান, চন্দনা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁরাই দেহটি নামান। খবর দেওয়া হয় চন্দনার বাপেরবাড়িতে। বিধানবাবুরা এসে পরিস্থিতি দেখে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জানান, বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে চন্দনার উপের অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনই চন্দনাকে খুন করে দেহটি ঝুলিয়ে দেয়।
|
চাষিরা যাতে ধান ও পাট সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারেন, রাজ্য সরকারকে দ্রুত সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন বিডিও অফিসে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হল। বিডিও অফিসের সামনে সভা করা হয়। বনগাঁ এবং বাগদা বিডিও অফিস চত্বরে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবী ঘোষাল, দলের নেতা তাপস মজুমদার, শুভঙ্কর সরকার প্রমুখ।
এ দিন সকালে হাবরা শহরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চাষিদের নিয়ে মিছিল করা হয়। ধান-পাট নিয়ে মিছিলে হাঁটেন চাষিরা। পরে হাবরা ১-এর বিডিও তাপস ঘোষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন হাবরা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক চক্রবর্তী, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দার। দেবীবাবু বলেন, “ধান ও পাট সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। রাজ্য সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান-পাট কেনায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে চাষিরা লোকসানে দালালদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।” তাঁর দাবি, “অনেক সময়েই ফসল অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে থাকছে। রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে এই সমস্যা মেটাতে হবে।” ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণেরও দাবি তোলা হয়। আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, বিপিএল তালিকা নতুন করে তৈরি করতে হবে। উন্নয়নমূলক কাজে প্রকাশ্য টেন্ডার করতে হবে। পঞ্চায়েতের কাজে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হচ্ছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।
|
কলেজের মাঠে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলার সময় এসএফআই সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের সংঘর্ষে জখম হলেন আটজন। আহতদের মগরাহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট কলেজে। পুলিশ-প্রশাসন ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজেরে ছাত্রসংসদ রয়েছে এসএফআইয়ের দখলে। এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। মগরাহাট ব্লক কংগ্রেস নেতা সুজিত পাটোয়ারির অভিযোগ, “বহিরাগত এসএফআই সমর্থকেরা আমাদের সমর্থকদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। আমাদের তিনজন সমর্থক জখম হয়েছেন।” সিপিএম নেতা চন্দন সাহার পাল্টা দাবি, ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরাই তাঁদের সমর্থকদের মারধর করে। তাতে পাঁচজন জখম হন। কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল পুকুরে |
দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকা যুবকের দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, রামকৃষ্ণ দাস (৩০) নামে ওই যুবকের বাড়ি বসিকরহাট থানার নেওড়াদিঘি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি উদ্ধার হওয়ার পরে পুলিশ সেটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিেয়্ছে, পেশায় রাজমিস্ত্রী রামকৃষ্ণ গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি। অনেক খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ দিন সকালে গ্রামের একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় কোনওভাবে পুকুরে পড়ে গিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ। সাঁতার না জানায় ডুবে যান।
|
দাবি মতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এক গয়না ব্যবসায়ীকে মারধর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠল কিছু তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর। বুধবার, পানিহাটির নীলগঞ্জ রোডে। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা রতন বসাকের সোনার দোকান আছে। ১৮ ডিসেম্বর তৃণমূলের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন তিনি। সে জন্য মঙ্গলবার তাঁর কাছে দশ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। দিতে অস্বীকার করায় দোকানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল নেতা কমল দাস বলেন, ‘‘আমরা লজ্জিত। এলাকার কর্মীদের সতর্ক করেছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যারা এই কাণ্ড করেছে, তারা ক্ষমতার লোভে পরিবর্তনের হাওয়ায় তৃণমূলে এসেছিল। দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’’ |