সিপিএমের ভূমিকাতেই ক্ষুব্ধ ‘ফেরার’ নেতার স্ত্রী
দালতের নির্দেশে দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ‘ফেরার’ অভিযুক্তদের অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা চলছে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের হাতারমাঠে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য মানিক সেনগুপ্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ, সিআইডি। খাট, আলমারি, চেয়ার, পাখা, পোশাক, এমনকী বইপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়। পলাতক সিপিএম নেতার স্ত্রী ও ছোট ছেলে বাড়িতে ছিলেন। তাঁরা পুলিশকে সব রকম ভাবে সহযোগিতাই করেন। স্ত্রী প্রণতিদেবী এবং ছেলে সুমন বরং সিপিএম জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের অভিযোগ, মেদিনীপুর শহরে দলের জেলা কার্যালয়ের কাছেই তাঁদের বাড়ি। অথচ মানিকবাবুর অনুপস্থিতিতে দলের কেউ তাঁদের খোঁজ নিতেও আসেননি।
কঙ্কাল কাণ্ডে ‘ফেরার’ মানিক সেনগুপ্তর অস্থাবর সম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
প্রণতিদেবী বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে উনি (মানিকবাবু) অসুস্থ। চলতে পারেন না। তা-ও পার্টি ছাড়েননি। পার্টি করেই সব শেষ হয়ে গেল। অনেক দিনই বাড়ি ছাড়া। পার্টির কেউও যোগাযোগ রাখেনি। কত দিন আর উনি পালিয়ে বাঁচবেন! ওঁরা সবাই মিলে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও তো পারতেন। তা হলে অন্তত ওঁর চিকিৎসাটা হত।” সুমনও বলেন, “আমরা কেমন আছি, কী ভাবে আছি, দলের কেউ জানতেও চান না।” মানিকবাবু আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। অসুস্থতার কারণেই বছর দশেক আগে চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেন। আদতে কেশপুরের আনন্দপুরের বাসিন্দা মানিকবাবুরা কয়েক বছর হল মেদিনীপুর শহরেই থাকতেন। আজ, শুক্রবার আবার এই মামলায় জেলবন্দি দুই সিপিএম কর্মী মদন সাঁতরা ও বৈদ্যনাথ সাঁতরাকে ‘রাজসাক্ষী’ করা নিয়ে সিআইডি-র আবেদনের শুনানি রয়েছে মেদিনীপুর আদালতে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.