“আপ ফির আ গ্যয়ে!”
প্রশ্নকারী আর কেউ নন। ইনদউরে সদ্য বিশ্ব রেকর্ড গড়া বীরেন্দ্র সহবাগের মা কৃষ্ণা সহবাগ। দিল্লির এক্স-১২ হাউজ খাস এনক্লেভে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনন্দবাজারকে যিনি ছেলের কীর্তি সম্পর্কে বললেন, “রেকর্ড গড়ার জন্যই ও জন্মেছে। এটাকে ওর কাজ বলুন বা পেশা, ও এ ভাবে একটার পর একটা রেকর্ড চুরমার করতে থাকবে। দুনিয়াকে বার বার দেখিয়ে দেবে যে, ওর থেকে বড় ব্যাটসম্যান আর জন্মায়নি!”
এতবড় কীর্তির পরেও অবশ্য সহবাগের বাড়িতে হইচই নেই। এমনকী ঐতিহাসিক ইনিংসটা সে ভাবে দেখেননি কেউ! কৃষ্ণা গিয়েছিলেন নজফগড়ের পুরানো বাড়িতে। বললেন “আমি তো খেলাই দেখিনি। তবে গাড়িতে কমেন্ট্রি শুনেছি।” সহবাগের স্ত্রী আরতিও বাড়ি ছিলেন না। দুই ছেলে আর্যবীর ও বেদান্ত তিন তালার বারান্দা থেকে চৌকিদারকে প্রশ্ন করল “এত ভিড় কেন?” চৌকিদার বললেন, “বেটা, তোমাদের পাপা বিশ্বরেকর্ড করেছে তাই।” এরই মধ্যে মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠতে উঠতে বীরুর ছোট ভাই বিনোদ বলে গেলেন, “রেকর্ড বনানাই উসকা কাম হ্যায়।”
কৃষ্ণা বলছিলেন, “কিছুদিন বড় রান না পাওয়ায় লোকে বলতে শুরু করেছিল, অস্ত্রোপচারের পরে বীরু শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিল।” এর পরেই ফেটে বেরিয়ে এলো ক্ষোভটা। উত্তেজিত ভাবে কৃষ্ণা বললেন, “আপনারাই বলুন আধিনায়ক হতে গেলে ওকে আর কী করতে হবে?” কিন্তু আজ তো তাঁর বীরুই অধিনায়ক! “ধোনি নেই তাই ক্যাপ্টেন। কী লাভ?” প্রশ্ন কৃষ্ণার।
আপাতত ছেলের ফোনের অপেক্ষায় তিনি। বললেন “কাল ফোনে বলেছিল মা তুমি দেখো ইনদউরে বড় রান পাবই।” বাবার খেলা আর্যবীর আর বেদান্তরও দেখা হয়নি। স্কুল থেকে ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাই বাবার কাছে দু’জনেই আবাদার করেছে, খেলার ভিডিও রেকর্ডিংটা সঙ্গে আনতে হবে। |