সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত সেমিফাইনালে উঠলেও রাজধানীতে তা নিয়ে শোরগোল কম! কারণ সম্ভবত অম্বেডকরের বদলে ম্যাচটা জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে চলে যাওয়া। প্রায় নিয়মিত ভাবে পকেটে এই কাপ পুরতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া ভারতের ফাইনাল যাওয়ার পথে বাধা আজ মলদ্বীপ।
প্রথম সেমিফাইনালে মলদ্বীপের হাঙ্গেরিয়ান কোচ ইস্তভান উরবানির তুরুপের তাস দলের অধিনায়ক আলি আসফাক। ভারতীয় কোচ স্যাভিও মেদেইরার ভরসা গ্রুপের তিন ম্যাচের সেরা সুনীল ছেত্রী একা নন। সঙ্গে রয়েছেন জেজে লালপেখলুয়া, রহিম নবি, ক্লিফোর্ড মিরান্ডা মতো একগুচ্ছ ফুটবলার।
নিজের দেশে এই টুর্নামেন্টে ভারত ফেভারিট। অথচ বৃহস্পতিবার মলদ্বীপ কোচ উরবানি ভারতকে তোয়াক্কা না করে বললেন, “আই ডোন্ট কেয়ার হু উই আর প্লেইং ইন সেমিফাইনাল”। আসলে এই কথা বলে তিনি নিজের দলের ফুটবলারদের মনোবল কৌশলে বাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এমনিতে দুই দলের মধ্যে ১৫ বারের সাক্ষাৎকারে নয় বার জিতেছে ভারত। চার বার জিতেছে মলদ্বীপ। তবু ভারতীয় দলের কোচ স্যাভিওর গলায় সমীহ, “মলদ্বীপ ভাল দল। ওদেরও কয়েক জন ভাল ফুটবলার আছে।”
সেমিফাইনালের একটি আকর্ষক লড়াই দুই দেশের দুই তারকা স্ট্রাইকারের নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার। আলি আসফাক মালয়েশিয়া লিগে খেলেছেন এবং বেনফিকা ও পোর্তোর মতো দলের ডাক পেয়েছেন। তেমনই সুনীল ছেত্রী গ্লাসগো রেঞ্জার্সে ট্রায়াল দেওয়ার আগে আমেরিকার কানসাস সিটিতে খেলেছেন। এই ব্যাপারে আসফাকের মন্তব্য, “ফুটবল একার খেলা নয়। দল হিসাবে যারা ভাল খেলবে তারাই জিতবে।” একই কথা সুনীলের মুখেও, “যে দল কম ভুল করবে আর নিজেদের মাথা ঠান্ডা রেখে খেলবে জিতবে তারাই।” মলদ্বীপ কোচ উরবানিও তারকা-কেন্দ্রিক খেলার বিরোধী। “শুধু আসফাককে আটকাতে গেলে ভারত ভুল করবে। কারণ আমার দলের অন্য স্ট্রাইকার তারিকও টুর্নামেন্টে দু’টি গোল করেছে। ’০৯-এর সাফ কাপে ওই সেরা স্ট্রাইকার হয়েছিল,” বলেন তিনি। সমীর নায়েক ও স্টিভন ডায়াস ফিট হয়ে যাওয়ায় স্যাভিওর গলায় বেশ জোর, “আমার হাতে বদলির সংখ্যা বেড়ে গেল।” এ দিকে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে দর্শক না আশায় হতাশ স্যাভিও-সহ নবি-সুনীল-স্টিভনরা। তাঁদের কথায়, “দর্শক ঠাসা অম্বেডকরে খেলার মজাই আলাদা। ওদের এখানে আমরা খুব মিস করছি।” |