চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারবে না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। অন্য বড় দলগুলো যেখানে সদর্প পৌঁছে গেছে পরের পর্বে। এসি মিলান, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, এমনকী প্রিমিয়ার লিগের চেলসি, আর্সেনালও।
বুধবার রাতে অ্যালেক্স ফার্গুসন যখন থমথমে মুখে বাসেলের সেন্ট জেকব্স পার্ক ছাড়ছেন সুইজারল্যান্ডে তখন ১৮ দিন আগেই ক্রিসমাস। পর দিন তাদের বিভিন্ন খবরের কাগজের ভাষায়, সুইস ফুটবলের ঐতিহাসিক দিন ৭ ডিসেম্বর। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাসেল।
ইঙ্গিতটা অবশ্য ছিল গ্রুপ লিগের ম্যাচেই। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ছিল ৩-৩ ড্র। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে ম্যান ইউ ১-২ হেরেই বসল বাসেলের কাছে। ম্যাচ ড্র করলেই রুনিরা যেতেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
হতাশ ফার্গুসন |
৭ ডিসেম্বর দিনটা বোধহয় খারাপ ছিল ম্যাঞ্চেস্টারের জন্যই। প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা রবের্তো মানচিনির ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ হারিয়েও যেতে পারল না পরের রাউন্ডে। নাপোলি ভিয়ারিয়ালকে ২-০ হারিয়ে দেওয়ায়।
বাসেলে প্রথমার্ধে ম্যান ইউ পিছিয়ে ছিল মার্কো স্ট্রেলারের গোলে। যে গোলে কিছুটা দোষ ছিল ম্যান ইউ গোলকিপার দাভিদ দি জিয়ার। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট ছয়েক আগে ২-০ করেন আলেক্সান্ডার ফ্রেই। শেষ সময়ে ম্যান ইউয়ের ফিল জোন্স একটি গোল শোধ দিলেও লাভ হয়নি। নানির অসাধারণ ফুটবল বৃথাই গেল। রুনি তো ঠিক মতো ছন্দেই ছিলেন না। উল্টে ম্যনা ইউ বড় ধাক্কা খায় বিরতির ঠিক আগে। ভিদিচ হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। হারার পর হতাশ ফার্গুসন বলেন, “শেষ কয়েকটা বছর অসম্ভব ভাল যাচ্ছে। বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়াটা তাই খুব বড় ধাক্কা।”
সিটি অব ম্যাঞ্চেস্টার স্টেডিয়ামে এক জন দর্শকের হাতে ধরা একটি পোস্টারে লেখা ছিল, “কাম অন ভিয়ারিয়াল।” অর্থটা পরিষ্কার। ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়াল যদি নাপোলির সঙ্গে ড্র রাখতে পারত, তা হলেও আগেরো-সিলভারা চলে যেতেন পরের পর্বে। মুলার-রবেন-রিবেরি-সোয়াইনস্টাইগারের মতো এক ঝাঁঁক তারকা ছিলেন না বায়ার্নে। সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাল সিটি। সিটির হয়ে গোল দুটি করেন দাভিদ সিলভা এবং ইয়াইয়া টোরে। কিন্তু সিটি ভক্তের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল ম্যাচের পর।
দিনের আর একটি উল্লেখযোগ্য ম্যাচ ছিল আয়াক্স-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ। যা হোসে কায়েহোন (২) এবং ইগুয়াইনের গোলে ৩-০ জেতে রিয়াল। লিঁয় ৭-১ হারায় ডায়নামো জাগ্রেবকে। ইন্টার মিলান ঘরের মাঠে ১-২ হেরেছে সিএসকেএ মস্কোর কাছে। |