করলা নদী নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। নদীতে হাজার হাজার মাছের মড়কের পরে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে বিষয়টি জানানো হয়। কীটনাশকের প্রভাবে নদীর দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রচুর সংখ্যক মাছের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের দফতর সূত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নদীর বর্তমান পরিস্থিতি, আগের ছবি, মাছের মড়ক শুরু হওয়ার দিন কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার রিপোর্ট বিস্তারিত ভাবে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে মাছের মড়কের বিস্তারিত জানিয়ে, নদীতে দূষণ রোধ করতে এবং মজে যাওয়া করলা নদীর নাব্যতা ফরিয়ে আনার উপায় জানতে চাওয়া হয়। তার উত্তরে ই-মেল বার্তা পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা করলা নদীর নাব্যতা ফেরাতে কারিগরি সাহায্য দিতে তৈরি। তবে মাছের মড়কের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রথমে নদী সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট তাদের কাছে পাঠাতে বলেছেন। সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, “ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রবীণ বৈজ্ঞানিক অনুজ শর্মা করলা নদী নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি ই মেল বার্তা পাঠিয়ে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন। করলা নদীতে মাছের মড়কের ঘটনা শুনে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরটি উদ্বিগ্ন। তাঁরা সব রকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত বলে আমাদের জানিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের সাহায্য নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে করলা নদী নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে চায় জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। সে কারণে আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান সুদীপ বরাটের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছবেন। নদীর বিভিন্ন গতিতে সমীক্ষা চালিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সাহায্য নিয়ে যে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে তা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে করলা নদীতে মাছের মড়কের পরবর্তী পর্যায়ে নদীর ওপর নজরদারি চালাতে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও করলা নদীর জলের নমুনা নিয়ে নতুন ভাবে গবেষণা শুরু করেছে। পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, করলার জল নিয়ে আরও এক দফায় সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। |