কুমলাই নদীর পাড়ে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ করে ৩ সপ্তাহ ধরে শহরের মাঝে ডাকবাংলো মাঠটিকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে ব্যবহার করায় দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ধূপগুড়ি শহরের বাসিন্দারা। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে সবুজ মাঠে যেভাবে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ জঞ্জাল ফেলছে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধূপগুড়িতে জেলা পরিষদের এক অফিসারকে বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত অবশ্য বলেন, “জেলা পরিষদের নিজস্ব মাঠে গর্ত করে জঞ্জাল ফেলে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। জঞ্জাল ফেলার জন্য কোনও বিকল্প জায়গা না-থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে তা করছি। বিডিও-র কাছে খাস জমি চাওয়া হয়েছে। সেটা পাওয়া গেলে সেখানে জঞ্জাল ফেলব।” |
এদিকে আবর্জনা থেকে বাতাসে ভেসে আসা দুর্গন্ধে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন পথচলতি মানুষ, ডাকবাংলো পাড়ার বাসিন্দা থেকে ধূপগুড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জেলা পরিষদ ও পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে শহরের মাঝখান দিকে বয়ে চলা কুমলাই নদীকে বেছে নেয়। দিনের পর দিন নদীর পাড়ে জঞ্জাল ও আবর্জনা ফেলার পর এখন তা ছোটখাটো পাহাড়ের আকৃতি নিয়েছে। নদীর জলে নোংরা-আবর্জনা মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে। কুমলাইয়ের অসংখ্য প্রজাতির মাছ কয়েক বছর আগে অবলুপ্ত হয়েছে। নদীর পাড়ে থাকা ব্যবসায়ীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়েছেন। কয়েক বছর ধরে বহু আন্দোলনের পর সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষে কুমলাই পাড়ে অবস্থানে বসার পর নদীর পাড়ে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়। এর পর জেলা পরিষদ বিকল্প জায়গা হিসাবে ডাকবাংলো মাঠ বেছে নেয়। এলাকার স্কুল শিক্ষক মণীশ দত্ত বলেন, “কিছুদিন ধরে আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শহরের মাঝে এ ভাবে মাঠে কেন বাজারের পরিত্যক্ত শাক, সবজি মাছের দেহাংশ ফেলা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।” তৃণমূলের যুব নেতা গুড্ডু সিংহ বলেন, “শহরের মাঝে সবুজ মাঠে যে ভাবে ঠেলায় করে জঞ্জাল এনে ফেলা হচ্ছে তা মানা যায় না। দুর্গন্ধে মানুষের টেঁকা দায় হয়ে গিয়েছে। এটা সভ্য সমাজে চলতে পারে না। শুক্রবার থেকে কোনও ভাবে ডাকবাংলো মাঠে জঞ্জাল ফেলতে দেব না আমরা। |