|
|
|
|
নতুন পঞ্চায়েত প্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
মাস খানেক আগে পদত্যাগ করেছিলেন আরামবাগের সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিআইয়ের তারারানি সিংহ। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মাধ্যমে ওই পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান হলেন পরিণীতা বাগ। তিনি ওই দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য।
ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নতুন প্রধান হয়ে পরিণীতাদেবী বলেন, “পঞ্চায়েত পরিচালনায় দলমত নির্বিশেষ সব মানুষের কাছে সহযোগিতা চাইছি। আশা করছি, কোনও অশান্তি হবে না। আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই অবশ্য বলেন, “পঞ্চায়েতের সমস্যা কেটে যাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। স্তব্ধ হয়ে যাওয়া উন্নয়নের কাজকর্মগুলি দ্রুত শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে। ব্লক প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি থাকবে।”
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই আরামবাগ মহকুমায় ৬৩টি পঞ্চায়েত পরিচালনার কাজে জটিলতা দেখা দেয়। সালেপুর-১ পঞ্চায়েতটি সিপিআইয়ের দখলে রয়েছে। বাকিগুলি সবই সিপিএমের। তৃণমূূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েত প্রধানেরা। পদত্যাগ করেন অনেক সদস্য ও উপপ্রধান। যদিও তাঁরা পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়েছেন।
গত ৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান তারারানি সিংহ। পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত পরিচালনা সম্ভব নয়’। শারীরিক ও মানসিক কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেছিলেন। দিন তিনেক পরে শুনানির মাধ্যমে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন বিডিও। সেই সময়ে তৃণমূলের নাম না করে তিনি বলেছিলেন, “প্রতিদিন বিক্ষোভ, অপদস্থ করা, উন্নয়নে বাধা দেওয়া চলছিলই। আমি আর পারছিলাম না। তাই পদত্যাগ করি।”
নতুন প্রধান নির্বাচনের পরেও গ্রামোন্নয়নের কাজ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। তা অমূলক বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের। তৃণমূলের সালেপুর-১ অঞ্চল সভাপতি সুফল চানক বলেন, “আমরা চাই পঞ্চায়েত পরিচালনার কাজে নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকুক। যা অনেক পঞ্চায়েতেই নেই। উন্নয়নের কাজে আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে দেব।” |
|
|
|
|
|