দাদপুরে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, বিক্ষোভ |
বাড়ি লাগোয়া খালের পাড় থেকে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির দাদপুর থানার বেড়াবেড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম শেখ জামাল (৪৫)। ঘটনার তদন্তে পুলিশ কুকুর নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামেই একটি দুগ্ধ প্রস্তুতকারী সংস্থায় কাজ করতেন জামাল। বুধবার রাত দশটা নাগাদ তিনি নিজের মোবাইল থেকে স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী সাহানারা বিবি বলেন, “আমাকে ফোন করে বলেছিল কারখানার জন্য কয়লা কিনতে যাচ্ছি। কয়লা কিনে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি আসব। কিন্তু রাতে বারবার মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।” বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের লোকেরাও মাঠে কাজ করতে যাওয়া পথে খালের পাশে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে। বাড়ির লোকেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরাই দেহটি শনাক্ত করেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশে পৌঁছলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। প্রথমে দেহ নিয়ে যেতে দিতে চাননি তাঁরা। বিশাল বাহিনী নিয়ে পৌঁছন সার্কেল ইন্সপেক্টর (সদর)। বাসিন্দাদের দাবি ছিল পুলিশ কুকুর দিয়ে ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। জেলা সদর থেকে পুলিশ কুকুর পাঠানো হয়। তবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। মৃতের স্ত্রী সাহানারা বিবি বলেন, “এলাকায় কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না। তবুও কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, কারও সাথে আচমকা ঝামেলার জেরেই খুন হয়েছেন জামাল। ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মুখে ও পেটে আঘাত করা হয়েছে। সেখানে ক্ষত রয়েছে। শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এলাকায় তল্লাশি করছে পুলিশ।
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে জখম ২০ |
মুণ্ডেশ্বরী নদীর চরের একটি বালি-খাদানকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বুধবার বিকালে তেতে ওঠে আরামবাগের ঘরগোয়াল গ্রাম। দু’পক্ষের মারপিটে ৭ জন মহিলা-সহ অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালি-খাদানটি গ্রামের কাছেই থাকায় সংলগ্ন বাড়ি এবং রাস্তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের আশঙ্কার কথা জানতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অভিজিৎ মালিক ওই সব গ্রামবাসীদের নিয়ে মাস দুয়েক আগে খাদানটি বন্ধ করে দেন। তাতে আপত্তি তোলেন স্থানীয় আর এক তৃণমূল নেতা শেখ ফিরোজ ও তাঁর অনুগামীরা। তা নিয়ে দু’পক্ষের অশান্তি অব্যাহত ছিল। বুধবার শেখ ফিরোজ অনুগামীদের নিয়ে খাদানটি ফের চালু করতে যান। তখন বাধা দেন অভিজিৎবাবুর অনুগামীরা। সেই দলে মহিলারাও ছিলেন। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। গ্রামবাসীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। অভিজিৎবাবু বলেন, “গ্রামটি যাতে বিপদে না পড়ে সেই কারণেই বালি-খাদানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরই দলের একাংশ অকারণে এর বিরোধিতা করছেন।” শেখ ফিরোজ পাল্টা বলেন, “বালি-খাদান থেকে গ্রামের কোনও বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে অন্যায় ভাবে খাদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে বালি-খাদানটি চালু করতে গিয়েছিলাম।” |
দু’টি স্কুলভোটে জয় তৃণমূলের |
ফের আরামবাগ মহকুমায় দু’টি স্কুলভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল তৃণমূল। ১৮ ডিসেম্বর পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আরামবাগের প্রতাপনগর হাইস্কুল এবং খানাকুলের নতিবপুর ভূদেব ইনস্টিটিউশনে। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দু’টি ক্ষেত্রেই তৃণমূল ছাড়া অন্য দল কোনও প্রার্থী দেয়নি। তাই তাদেরই জয়ী ঘোষণা করা হয়।
|
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক পথচারীর। বুধবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের উত্তর রসুলপুর গ্রামে। মৃতের নাম লক্ষ্মী দুলে (৩৪)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |