|
|
|
|
তৃণমূলের ‘হুমকি’, ফের ঘরছাড়া সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বিধানসভা ভোটের পর ঘরে ফেরার তিন দিনের মধ্যে ফের তৃণমূলের একাংশের ‘হুমকি’তে ঘর ছাড়তে হল আরামবাগের এক সিপিএম নেতাকে।
সিপিএমের আরামবাগ-৫ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা-সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শরদিন্দু ঘোষ নামে ওই নেতা কেশবপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন গত মঙ্গলবার। বিধানসভা ভোটের পরেই ‘তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে’, এই অভিযোগ তুলে তিনি ঘর ছাড়েন। এই ক’মাস আরামবাগ শহরেই ছিলেন।
শরদিন্দুবাবু স্থানীয় একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক। বৃহস্পতিবার তিনি স্কুলে যোগ দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই কয়েক জন তৃণমূূল সমর্থক ওই স্কুলে হাজির হয়ে শরদিন্দুবাবুকে হাজিরা-খাতা থেকে নিজের নাম কেটে দিতে বলেন এবং এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এর পরে বাড়ি ফিরে শরদিন্দুবাবু জানতে পারেন, আর এক দল তৃণমূল সমর্থক বাড়িতে এসে তাঁকে ঘরে না-থাকার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তিনি এ বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি। কিন্তু পুলিশ তাঁর বাড়িতে আসে। পরে পুলিশই তাঁকে পাহারা দিয়ে আরামবাগে নিয়ে যায়।
শরদিন্দুবাবু জানান, স্কুলে ওই ঘটনার সময়ে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃণাল ঘোষ (মেন্টা)-কে ডাকেন। মৃণালবাবু স্কুলে এসে পরিস্থিতি সামলান। পরে তিনিই শরদিন্দুবাবুকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। শরদিন্দুবাবুর দাবি, ‘মৃণালবাবুর সঙ্গে কথা বলেই আমি এত দিন পরে গ্রামে ফিরেছি। মৃণালবাবু আমার সঙ্গে কোনও অভব্যতা করেননি। কিন্তু তাঁর দলেরই কয়েক জনের জন্য আমাকে ফের ঘরছাড়া হতে হল।”
এ দিনের ঘটনায় দলের কিছু কর্মী-সমর্থক যে জড়িত তা স্বীকার করে নিয়েছেন মৃণালবাবু। তিনি বলেন, “শরদিন্দুবাবু আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। তাঁকে আমি বাড়িতে থাকতে বলেছি। তবে, কিছু দিন বাইরে ঘোরাফেরা না করার কথা বলেছি। আমাদের কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারের পুরনো অভিযোগ তুলে এ সব কাণ্ড করেছে। আমরা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সহাবস্থানের পক্ষে। সেই বার্তা দলের সমস্ত স্তরেই দেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|