থাকবে চা মজুত করার অয়্যারহাউজ, টি ব্লেন্ডিং এবং প্যাকেজিং ইউনিট। চা নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র, টি মিউজিয়াম, চা নিলাম কেন্দ্র, বিক্রয় কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির অদূরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন লাগোয়া এলাকায় প্রায় ৬০ একর জায়গায় তৈরি ওই টি পার্কের সূচনা হল। এ দিন প্রদীপ জ্বালিয়ে এই টি পার্কের উদ্বোধন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। দুবাইয়ের টি পার্কের পর এটি বিশ্বে দ্বিতীয়। তবে দুবাইয়ের তুলনায় আকারে অনেক বড়। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ওই টি পার্ক গড়ে উঠছে। |
এ দিন এসজেডিএ’র তরফে শিল্প পরিকাঠামো গড়ে তুলে সেখানে বিভিন্ন ব্লেন্ডিং, প্যাকেজিং, অয়্যারহাউজ-সহ বিভিন্ন ইউনিট গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে জমির সত্ত্বাধিকারের শংসাপত্র দেওয়া হয়। বিভিন্ন ইউনিট গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত ১৫২ টি সংস্থার নামে জমি বরাদ্দ করা হলেও এ দিন ১৩৪ জনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দিন থেকেই তারা ইউনিট তৈরির কাজ শুরু করতে পারেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “জমির সত্ত্বের শংসাপত্র পাওয়ায় উদ্যোগীরা এ বার এখানে তাঁদের ইউনিট গড়ে তোলার কাজ শুরু করতে পারবেন। জায়গাটি ঘটনাচক্রে আমার বিধানসভা ক্ষেত্রের ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ছে। এখানে নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে সাধারণত গ্রাম পঞ্চায়েত অনুমতি দেয়। তবে টি পার্ক নির্মাণের অনুমোদনের বিষয়টি এসজেডিএ’র তরফেই দেখা হবে।”
বাম জমানায় তৎকালীন পুরমন্ত্রী তথা এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের সময় রেলের কাছ থেকে ২০০৮ সালে ড্রাইপোর্ট এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প গড়ে তোলার কথা বলে জমিটি নেওয়া হয়। অথচ ড্রাইপোর্টের কথা বলে অধিকাংশ জায়গা টি পার্কের কাজে ব্যবহার করা নিয়ে জমির চরিত্র পরিবর্তনের প্রশ্ন ওঠে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী খোদ গৌতমবাবুও সে সময় ওই প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ দিন তিনি অবশ্য বলেছেন, “এক কাজের জন্য জমি নিয়ে অন্য কাজে যাতে ব্যবহার না হয় সে ব্যাপারেই বলা হয়েছিল। তেমন কিছু হলে রেলের সঙ্গে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের তরফে কথা বলে নথিপত্র ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজন।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন, এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, বোর্ড সদস্যরা। রুদ্রবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা জমি নিয়েছেন তারা ১ বছরের মধ্যে সেখানে চায়ের কারবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজ শুরু না করলে জমি ফেরত নেওয়া হবে। |