|
|
|
|
মহিলাকে হেনস্থার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেওয়ানগঞ্জ |
এক শিক্ষকের কাছে হেনস্থার শিকার হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন স্কুলের মহিলা গ্রন্থাগারিক। মঙ্গলবার হলদিবাড়ি থানার দেওয়ানগঞ্জ হাই স্কুলের ওই মহিলা কর্মী পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান। ওই গ্রন্থাগারিক পুলিশকে জানিয়েছেন, গ্রন্থাগারে বসে ঘুমনো, ধূমপান করতে বাধা দেওয়ায় স্কুলের শিক্ষক কমল রায় দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে গালিগালাজ করে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে। পরিস্থিতি চরমে ওঠে গত সোমবার। এ দিন স্কুলে যাওয়ার পরই ওই শিক্ষক তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত কমলবাবু অবশ্য বলেন, “স্কুলের সহকর্মীদের মধ্যে একটুআধটু ঝগড়া হয়েই থাকে। গালিগালাজ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।” মাথাভাঙা মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সীতারাম সিংহ জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টুনটুনি দেবী বলেন, “স্কুলে ক্লাস না থাকলে ওই শিক্ষক গ্রন্থাগারে এসে শুয়ে থাকতে চাইতেন। ধূমপান করতে চাইতেন। তার প্রতিবাদ করায় কমলবাবু ক্ষেপে যান। তার পর থেকেই নানা ভাবে হেনস্থা করতে থাকেন। দেখা হলে গালিগালাজ করেন।” টুনটুনি দেবী জানান, ওই দিন কমলবাবু তাঁকে গালিগালাজ করলে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার স্কুলের কর্মচারী সমিতির সভায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। মাস দুয়েক আগেও একই ঘটনায় স্কুল পরিচালন সমিতির সভায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন টুনটুনি দেবী। তখন ওই শিক্ষক ক্ষমা চেয়েছিলেন। তাই এ দিন ‘মিটিয়ে নেওয়া’র বিষয়টি মানতে চাননি টুনটুনি দেবী। প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে না পারায় এর পর পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। দেওয়ানগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক কমলেন্দু প্রমাণিক বলেন, “আমাদের পক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।” স্কুলের কর্মচারী সমিতির সম্পাদক নীহার রঞ্জন রায়প্রামাণিক বলেন, ‘‘শিক্ষক হয়ে কমলবাবু ওই মহিলার প্রতি এমন আচরণ করবেন তা মানা যায় না।” |
|
|
|
|
|