|
|
|
|
গৌড়বঙ্গের ইসি-বৈঠক ভেস্তে গেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
অধ্যাপক মঞ্চ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবস্থান বিক্ষোভে বুধবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। অধ্যাপক মঞ্চের অভিযোগ, রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করার পরেও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ শিক্ষক ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আলাদা আলাদাভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করে। পাশাপাশি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিও তোলা হয়। এদিনের ঘেরাও বিক্ষোভে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকেরা সামিল হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপা দত্ত। তিনি বলেন, “কলেজের কিছু শিক্ষক ও ছাত্র বিক্ষোভ করে কাউন্সিলের বৈঠক বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাকে অপমান করেছেন। মঞ্চের শিক্ষকরা আমাকে উদ্দেশ্য যে ভাষা প্রয়োগ করেছে তা ভাবাই যায় না।” উপাচার্যের দাবি, রাজ্য সরকারে অনুমতি নিয়েই এ দিনের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অধ্যাপক মঞ্চের সম্পাদক দিলীপ দেবনাথ বলেন, “রাজ্য অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। আমরা ভেবেছিলাম পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলের সদস্যরা পদত্যাগ করবেন। অথচ কাউন্সিলের সদস্যরা পদত্যাগ না করে বৈঠকে করতে এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানা হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন সদস্য বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন।” এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ কাউন্সিলের বেঠক শুরু হওয়ার আগেই অধ্যাপক মঞ্চের সদস্যরা উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্ররা একই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। জেলা তৃণমূল নেতা শান্তনু সাহা বলেন, “অর্ডিন্যান্স জারি করার পরেও সিপিএমের শুভানুধ্যায়ীরা কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ না করে বেআইনি কাজ করছেন। এদের অপসারণ না করা আন্দোলন চালিয়ে যাব।” অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন কাউন্সিলের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকতে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ দিকে যাকে অপসারণের দাবিতে মঞ্চের সদস্যরা সোচ্চার, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অর্পূব চক্রবর্তী বলেন, “অব্যাহতি চেয়ে উপাচার্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমাকে প্রতিপদে অপমান করা হচ্ছে। তাতে এই পদে কাজ চালানো সম্ভব নয়।” |
|
|
|
|
|