|
|
|
|
শনির দুপুরেও খোলা থাকবে প্রাথমিক স্কুল |
অরিন্দম সাহা • কোচবিহার |
শিক্ষকদের একাংশের ফাঁকিবাজির প্রবণতা বন্ধে শনিবার জেলার সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ক্লাস চালু রাখা বাধ্যতামূলক করেছে কোচবিহার জেলা স্কুল কাউন্সিল (ডিপিএসসি)। ডিসেম্বর মাসেই ওই ব্যপারে কোচবিহারের ১৮১৯ স্কুলের প্রধানশিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে ডিপিএসসির তরফে লিখিত নির্দেশনামা পৌঁছে যাবে। গোটা ঘটনায় কোচবিহারের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা মহলে ব্যপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কোচবিহার ডিপিএসসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোম থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস হওয়ার কথা। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাসের পর ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ জারি রয়েছে। কিন্তু কোচবিহারে বহু প্রাথমিক স্কুল শনিবার দুপুর ১টা থেকে দেড় টার মধ্যে ছুটি দেওয়া হচ্ছে বলে সংসদ কর্তারা অভিযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি, বেশ কিছু স্কুলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে শিক্ষকদের একাংশ শনিবার ফাঁকি দিয়ে সোমবার হাজিরা খাতায় পুরনো তারিখে সই করেন বলেও অভিযোগ। কোচবিহারের ডিপিএসসি চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেন, “বেশ কিছু স্কুলে শনিবার আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর পৌঁছেছে। তা বন্ধ করতেই ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত স্কুলে নির্দেশিকা পৌঁছে যাবে। এর পরেও ফাঁকি বন্ধ না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ডিপিএসসি সূত্রের খবর, জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩ লক্ষাধিক।শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। রাজ্যে পরিবর্তনের পর ডিপিএসসি চেয়ারপার্সন হন কল্যাণী দেবী। তিনি সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ক্লাস চালু রাখার উপর বাড়তি নজর দেন। ১০ জন শিক্ষককে শোকজও করা হয়। তাতে সপ্তাহের ওই দিনগুলিতে কর্মসংস্কৃতির উন্নতি হলেও শনিবারের পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কোচবিহারের ডিপিএসসি সদস্য তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের সদস্য সুব্রত নাহা বলেন, “ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে কোনও আলোচনা হয়নি। তা ছাড়া দু-একটি ক্ষেত্রে কোথায় অভিযোগ রয়েছে সে জন্য নতুন করে নির্দেশিকার মানে হয় না। যারা নিয়ম মানছেন না চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়াই ভাল।” এবিপিটি’র কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিল দাস বলেন, “শনিবার দেড়টা পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার কথা। যদি কেউ ফাঁকি দেয় চিহিন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।” পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি অবশ্য ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সমিতির কোচবিহার জেলা সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, “শনিবারের দায়িত্বপালনে বেশ কিছু স্কুলে খামতি রয়েছে। সমস্যা মেটাতে চেয়ারপার্সনকে সব রকম সহযোগিতা করব। |
|
|
|
|
|