থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে বুধবার মেদিনীপুর শহরে একটি আলোচনাসভা ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ্ ইন্ডিয়া পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগেই এই কর্মসূচি।
শহরের টাউনস্কুলে এ দিন দুপুরে এই আলোচনাসভা ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়। সেই সঙ্গে থ্যালাসেমিয়া-বাহক নির্ণয়ের জন্য একটি শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিল। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শতাধিক ছাত্রছাত্রী শিবিরে যোগ দেয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী সুনিষ্ঠানন্দ, টাউন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা আহ্বায়ক অমলকান্তি পাণ্ডে প্রমুখ। সংগঠনের জেলা সভাপতি জয়ন্তকুমার মারিকের কথায়, “সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই উদ্যোগ। এর ফলে, ছাত্রছাত্রীরাই উপকৃত হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নানা প্রান্তেই থ্যালাসেমিয়া-আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। মেদিনীপুর থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০১০ সালের ২৫ জুন থেকে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪১৩৫ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৩ জনই থ্যালাসেমিয়া-আক্রান্ত। সোসাইটির এক কর্মী জানাচ্ছেন, “প্রতি বছর যত জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয় তার মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।” থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এমন উদ্যোগের প্রংশসা করেছেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের উচিত এ ভাবে শিবির ও আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্কশেখর মাইতি বলেন, “আগামী দিনেও আমরা এমন সমাজকল্যাণ-মূলক কর্মসূচির আয়োজন করব।” |