রাজ্য কাউন্সিল অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে রোগী দেখায় পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, বুধবার পুলিশের কাছে তা জানতেও চেয়েছে আদালত।
বর্ধমানের ঢলদিঘির কাছে জি টি রোডে চেম্বার খুলে বসা দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে বর্ধমান আদালতের শরণাপন্ন হন স্থানীয় তেঁতুলতলার বাসিন্দা সামসুল হক। বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন কয়েক জন। জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-১ অসীম দাস মালাকর বলেন, “আমরা ওই দুই চিকিৎসকের নাম রাজ্য কাউন্সিল অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের কাছে পাঠিয়ে জানতে চেয়েছিলাম, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন আছে কি না। কাউন্সিল জানিয়েছে, নেই। আমরা ওই দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করব। জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানানো হবে।” হুগলির গুড়াপের বাসিন্দা ধীরেন চন্দ্রের চিঠির জবাবেও রাজ্য কাউন্সিল অফ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের রেজিস্ট্রার জি সি ঘোষ লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ওই দু’জনের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। এঁদের মধ্যে এক জনকে গত ৪ মে চিঠি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের কাছে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানাতে বলা হয়েছিল। তিনি তা জানাননি। গত ৩ নভেম্বরই বর্ধমান সিজেএম আদালত ওই দু’জনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বর্ধমান থানাকে। এ দিন বর্ধমান থানার আইসি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আদালতে অনেক মামলাই হয়। সেগুলির নথি ঠিক সময়ে আমাদের কাছে পৌঁছয় না। খোঁজ নিয়ে দেখছি, এটির নথি কোথায়।” |