|
|
|
|
অ্যাকাডেমির নাম পাল্টাতে চায় কেপিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
প্রস্তাবিত রাজবংশী ভাষা অ্যকাডেমির নাম বদলানোর দাবি তুলল কামতাপুর পিপলস পার্টি (কেপিপি)। সম্প্রতি দলের তরফে বৈঠকের পরে কামতাপুরি ভাষা অ্যাকাডেমি গড়ার দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই দাবিতে আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গের নানা এলাকায় আন্দোলন করা হবে বলে কেপিপি জানিয়েছে। কেপিপি-র সভাপতি নিখিল বলেন, “কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন চলছে। প্রচুর মানুষ জেল খেটেছে। অনেক রক্ত ঝরেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে অস্বীকার করার করার জন্য কোচবিহারে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি তৈরির চেষ্টা চলছে।” তিনি জানান, নাম না-পাল্টালে ওই অ্যাকাডেমির বিরোধিতা করবেন। নিখিলবাবু বলেন, “রাজবংশী বলতে বিশেষ একটি জনগোষ্ঠীকে বোঝায়। কিন্তু উত্তরবঙ্গে রাজবংশী ছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করেন। আমরা প্রত্যেককে নিয়েই পৃথক কামতাপুরি রাজ্য গঠনের দাবি করেছি। তাঁদের ভাষা বলতে কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতির দাবি রেখেছি। অতীতে যে ওই নামে স্থানীয় ভাষা পরিচিত ছিল তার অনেক প্রমাণ আছে।” কেপিপির অভিযোগ, রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি গঠনের নাম করে কামতাপুরি নামকে অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র করছেন প্রশাসনের একাংশ। স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রীদের একাংশ ওই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাবাবেগের কথা বিধানসভায় তুলে না-ধরে উল্টে কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতির দাবির বিরোধিতা করছেন। নিখিলবাবু বলেন, “ভুল তথ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষা স্বীকৃতির দাবি উপেক্ষা করেছেন সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” কেপিপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি হলে রাজবংশীদের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বঞ্চিত হবেন। ২৮ নভেম্বর প্রশাসনের কর্তাদের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দলের ওই বক্তব্য জানাবেন তাঁরা। ওই দিন উত্তরবঙ্গের সমস্ত বিডিও এবং জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন দলের কর্মী ও সমর্থকরা। দেওয়া হয়ে স্মারকলিপি। তবে কেপিপি নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যথেষ্ট নরম। দলের সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। উনি প্রকৃত তথ্য জানলে অ্যাকাডেমির নাম থেকে রাজবংশী শব্দটি বাদ দিয়ে যে কামতাপুরি জুড়বেন সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। তাই স্মারকলিপির মাধ্যমে তাঁকে সবিস্তারে সবকিছু জানানো হবে।” স্মারকলিপি দেওয়ার এক সপ্তাহের সাড়া না-মিললে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নানা জেলায় বিক্ষোভ-অবস্থানের হুমকি দিয়েছে কেপিপি। |
|
|
|
|
|