|
|
|
|
ধৃত মোট পাঁচ |
প্রতারণায় গ্রেফতার আরও এক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রতারণা মামলায় আরও ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার শিলিগুড়ি থানার বাবুপাড়া থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রমেশ জয়সওয়াল। তার বিরুদ্ধে হাকিমপাড়ার পিসি সরকার সরণির বাসিন্দা শেখর দাস ১৭ নভেম্বর শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শেখরবাবু তাঁর অভিযোগে জানান, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ রমেশের মাধ্যমে মুম্বইয়ের একটি অর্থলগ্নিকারী সংস্থায় ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। ১২০ দিনের মাথায় তাঁকে ৮০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো তাঁকে ৮০ হাজার টাকার একটি ‘চেক’ দেওয়া হয়। সেই চেক নিয়ে তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। ওই চেক ‘বাউন্স’ করে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “প্রতারণা মামলায় এ পর্যন্ত আমরা কোম্পানির এক কর্তা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে এদিনই গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। এ ছাড়াও বেশ কিছু নাম তদন্তে উঠে এসেছে। সব কিছুই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, রমেশ একটি নামী অর্থলগ্নিকারী সংস্থার হয়ে কমিশন ‘এজেন্টে’র কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে হলেও বহু বছর ধরেই তিনি বাবুপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সপরিবারে থাকেন। ২০১০ সালের মাঝামাঝি প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার রাজীব ভদ্রের মাধ্যমে মুম্বইয়ের ওই অর্থলগ্নিকারী সংস্থার হয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। শেখর দাস ছাড়াও শিলিগুড়ির আরও কয়েকজন ব্যক্তি রমেশের মাধ্যমে টাকা দ্বিগুণের লোভে ওই সংস্থায় কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। রমেশ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, কোম্পানি যে টাকা দেবে না তা তিনি বুঝতে পারেননি। পুলিশের এক কর্তা জানান, শিলিগুড়ি কলেজের এক অবসপ্রাপ্ত শিক্ষকের নাম ওই মামলায় উঠেছে। কিন্তু, স্পষ্ট অভিযোগ না-থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এখনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রের খবর, গত এক বছরে মুম্বইয়ের ওই প্রতারণা সংস্থার জাল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা সংস্থার কমিশন এজেন্ট রাজীব ভদ্র এবং তুষারকান্তি গুহের মাধ্যমে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গার তিন বাসিন্দাও টাকা দ্বিগুণের লোভে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাঁরা শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিষয়টি জানিয়েছেন। একজন শিলিগুড়ি আদালতেও অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাঁদের আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “তিন জনের কাছ থেকে দ্বিগুণ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। আদালতের মাধ্যমে একজন অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাকিরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছেন। কোচবিহারে পুলিশ তাঁদের এফআইআর নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।” |
|
|
|
|
|