শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ম্যানেজার উত্তমবাবু বলেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। ওঁরা আগেও বেশ কয়েকবার এসেছেন। আমি সংস্থার সদর দফতরে যোগাযোগ করতে বলেছি। এর আগেও একদিন আমার দফতরে ঢুকে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এদিন দরজা বন্ধ করে আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে টেলিফোন করি।” বিক্ষোভকারীদের তরফে বাগডোগরার বাসিন্দা বাপি দাসের অভিযোগ, “শুধুমাত্র শিলিগুড়ি ডিপোতেই ওই কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। বাকি তিনটি ডিপোতে আমাদের মত কর্মীরা কাজ করছেন। আমরা পরিবার নিয়ে পথে বসে গিয়েছি। ডিভিশনাল ম্যানেজারকে কোনও ব্যবস্থা করার জন্য বলতে যাই। উনি কোনও কথাই শুনতে চাননি। দরজা বন্ধ করার অভিযোগ ঠিক নয়। পুলিশ এসে আমাদের সঙ্গেও কথা বলেছে।” কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না নিলে সংস্থার সামনে পরিবার নিয়ে ধর্নায় বসা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশ গিয়েছিল। তবে শারীরিকভাবে কোনও হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র বিক্ষোভ হয়েছে। কতৃর্পক্ষকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তা দিলে মামলা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দেড় থেকে দুই দশক আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ওই ১৪৬ জনকে সংস্থার চারটি ডিপোতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। এনবিএসটিসি’র রিক্রিয়েশন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলার পাশাপাশি তাঁরা দফতরে কাজ করবেন বলে ঠিক হয়। ৮ ঘন্টা ডিউটির মধ্যে সকালে ৪ ঘন্টা প্র্যাকটিস এবং বাকি ৪ ঘন্টা কেউ প্রহরী, কেউ ইলেকট্রিশিয়ান, কেউ অফিসে কাজ করছিলেন। পারিশ্রমিক বাবদ নিয়োগের সময় ৬৭০ টাকা শুরু করে এখন প্রত্যেকে মাসে সাড়ে ৩ হাজার টাকা’র মতন পেয়ে থাকেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনবিএসটিসি’র বোর্ডের পরিবর্তন হয়। নতুন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সংস্থাকে ঘুরে দাঁড় করাতে নানা সিদ্ধান্ত নেন। আয় বাড়ানোর জন্য নানা সিদ্ধান্ত নেন। গত ৪ অগস্ট শিলিগুড়ির ডিপোর ১৯ জনকে ছাঁটাই করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। |